বাংলাহান্ট ডেস্কঃ যাত্রা বাংলার এক লোকশিল্প। বহুদিন আগে থেকেই বাংলার গ্রাম গঞ্জে বিনোদনের ছোঁয়া এনে দিয়েছে যাত্রা। আবার কখনো কখনো কুশলী নাট্যকার ও শিল্পীদের অংশগ্রহনে যাত্রা হয়ে উঠেছে এক অসাধারন শিল্পও। কিন্তু বর্তমানে টেলিভিশন ও ইন্টারনেটের যুগে যাত্রা এক বিলুপ্তপ্রায় শিল্প। যাত্রার শিল্পীরাও তাই অনেকেই এখন বাস করেন দারিদ্রসীমার নীচে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হয়ে আসার পরই যাত্রা শিল্পীদের এই দুরবস্থার কথা চিন্তা করে ভাতার ব্যবস্থা করেছিলেন। শুরুতে তাঁদের বার্ষিক ১৫ হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হত। এবার সেই ভাতাই ১০০০০ টাকা বাড়িয়ে দিলেন মমতা। এবার থেকে যাত্রা শিল্পীরা পাবেন বার্ষিক ২৫ হাজার টাকা। এই খবরে খুশির মেজাজ যাত্রা শিল্পি মহলে। প্রসঙ্গত যাত্রা শিল্পী ছাড়াও আরো অনেক খাতে ভাতা দেয় রাজ্যসরকার। কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, ইমাম ভাতার মত রাজ্যের পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য ভাতা রয়েছে রাজ্যে।
বৃহস্পতিবার ২৪তম যাত্রা উত্সবে হাজির ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সেই মঞ্চ থেকেই ১০ হাজার ভাতা বাড়ানোর ঘোষনা করেন তিনি। রাজ্য সরকার ৬৪৪ জন দুঃস্থ যাত্রাশিল্পীকে এই ভাতা দেয়। রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় যাত্রাশিল্পীদের যুক্ত করা হবে বলেও জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার বারাসাতে যাত্রা উত্সবের মঞ্চ থেকে ৫১টি প্রকল্পের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী । ৩১১ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা খরচ হবে এই প্রকল্পগুলিতে । একই সাথে ২.৫ কোটি টাকার নতুন প্রকল্প ঘোষনা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধায়। এদিন মধ্যমগ্রামে CAA বিরোধী একটি পদযাত্রাও করেন মমতা।