দেশের এই কঠিন পরিস্থিতি পেরিয়ে এবং বাংলায় মিছিল, রাস্তা অবরোধ সবকিছুকেই অতিক্রম করে গত শনিবার ১১ই জানুয়ারি কলকাতায় আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কলকাতা বন্দরে সার্ধ শতবার্ষিকী উদযাপনে তিনি এদিন কলকাতায় উপস্থিত ছিলেন। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে তার বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচোনাও হয়, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও খানিক কথা হয় দুজনের মধ্যে।
রবিবার সকালে তিনি বেলুরমঠ পরিদর্শনে যান। এরপর রোববার সন্ধায় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সময় তিনি কলকাতা বন্দরের নাম ভারতীয় জনসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নাম দেন। এমনকি তিনি আরও একটি নতুন ঘোষনা করেন। ভারতের সব বীর ব্যাক্তিতব্দের নামে তিনি “বিপ্লবী ভারত” নামক একটি বিশেষ যাদুঘর তৈরি করার কথা বলেন।
এমনকি তিনি এও জানান যে কলকাতা জাদুঘর সহ দেশের আরও ৫টি জাদুঘরকে আন্তরজাতিক মানের করে তোলা হবে। বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন জাদুঘর কলকাতা জাদুঘর দিয়ে শুরু করে আরও কয়েকটি জাদুঘরকে আন্তর্জাতিক মানের করা হবে। এই দিন তিনি বলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, অরবিন্দ ঘোষ, রাসবিহারী বসু, ক্ষুদিরাম বসু, দেশবন্ধু, বাঘা যতীন, বিনয়, বাদল, দীনেশ এবং আরও বহু স্বাধীনতা সংগ্রামীকে সেখানে স্থান দেওয়া হবে”।
ইতি মধ্যেই কলকাতায় ওল্ড কারেন্সি বিল্ডিং এবং ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের নতুন করে কাজ শুরু হয়েছে। সেগুলকে পুনর্গঠনের দায়িত্ব নিয়েছে সরকার।মোদীর ভাবনা অনুযায়ী কলকাতার হেরিটেজগুলোকে আবার নতুন করে সাজানো হচ্ছে। মোদী এও জানিয়েছেন তিনি চান ভারতের সমস্ত ঐতিহ্যবাহী যে জিনিসগুলো রয়েছে সেগুলকে নতুন করে সাজিয়ে আবার পর্যটন ব্যবস্থাকে শক্ত হাতে তুলে ধরবেন। ঠিকমতো কাজ চললে শীঘ্রই আমরাতা দেখতে পারবো । এবার দেখার বিষয় সঠিকভাবে কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর এই নতুন উদ্যোগের সফলতা কতটা ভারতীয়দের মনকে ছুঁতে পারে। তাই এখন শুধু দিন গোনার অপেক্ষায় বাংলার মানুষরা ।