বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেশের মধ্যে প্রথম কেরলের বিধানসভায় পাস হয়েছে। এবার তারাই সিএএ-র বিরোধিতা করে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হল।কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন সর্বপ্রথম পদক্ষেপ নিল এই সিএএ আইনকে চ্যালেঞ্জ জানানোর। উত্তর, দক্ষিণ পূর্ব, পশ্চিম ভারতের বহু রাজ্যেই সিএএ-র বিরোধিতায় বিক্ষোভ-আন্দোলনে নেমেছে, তবে কেরল সরকার সে রাজ্যগুলির মধ্যে কিছুটা এগিয়েই রয়েছে।
সু্প্রিম কোর্টে ইতিমধ্যেই সিএএ-আইনের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ৬০টি মামলা করা হয়েছে।শুনানিও চলছে সেগুলির।
শীর্ষ আদালতে কেরল সরকার যে আবেদন জানিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে সিএএ আইন সংবিধানের ১৪, ২১ এবং ২৫ অনুচ্ছেদের বিরোধী।
- অনুচ্ছেদ ১৪-নাগরিকের সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে
- অনুচ্ছেদ২১- আইনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ছাড়া কোনও নাগরিকের মৌলিক স্বাধীনতা হরণ করা যাবে না।
- অনুচ্ছেদ ২৫- দেশের সকল নাগরিক সমান।
উল্লেখ্য, গত বছরের শেষের দিকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন চালু হওয়ার পরই প্রথম সরব হয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই দেখা গেল, কেরলের বিধানসভায় সিএএ আইন প্রত্যাহারের প্রস্তাব পাস হয়ে গেল, যা রীতিমতো নজিরবিহীন পদক্ষেপ ছিল গোটা দেশের নজরে।
সোমবার সিএএ বিরোধী আন্দোলনের রণকৌশল ঠিক করতে কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে ২০টি বিরোধী দলের নেতানেত্রীরা যোগ দিয়েছিল। যদিও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না মমতা, মায়াবতী, কেজরিবাল, স্ট্যালিন, উদ্ধব ঠাকররা। তার জেরে বিরোধী জোট তৈরির আগেই ভাঙনের বিদ্রুপ শোনা গিয়েছে বিভিন্ন মহলে।