বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দেশের জনসংখ্যার একটা বিশাল অংশের মানুষ সাধারন রোগের চিকিৎসা করার মত সামর্থ্য নেই। এদের জন্য দেশ ও রাজ্যের নানা রকম স্বাস্থ্য প্রকল্প রয়েছে। কিন্তু কোনো নিম্নবিত্তের মানুষ যদি বিরল রোগে আক্রান্ত হলে সে ক্ষেত্রে তার চিকিৎসা করবে কি করে। সেই প্রশ্নের সমাধানই করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার।
বিরল রোগে আক্রান্ত দরিদ্র মানুষদের ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা করবে কেন্দ্র। দারিদ্র সীমার নীচে থাকা মানুষজন ছাড়াও আয়ুষ্মান ভারত-প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য যোজনার নিয়ম অনুসারে যোগ্য জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ এই সুবিধা পাবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বেছে নেওয়া এইমস, নয়াদিল্লি, মৌলানা আজাদ মেডিকেল কলেজ, নয়াদিল্লি, সঞ্জয় গান্ধী পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিকেল সায়েন্সেস ইনস্টিটিউট মেডিকেল সায়েন্সেস, লখনউ এবং পোস্ট গ্রাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ, চণ্ডীগড় ইত্যাদি সংস্থায় চিকিৎসা করাতে পারবেন সাধারন মানুষ। ডিজিটাল প্লাটফর্মের মধ্যে পাওয়া অর্থ থেকেই হবে এই চিকিৎসা।
সাধারনত দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা করতে হয় এমন রোগগুলিকে বিরল রোগের আওতায় ফেলা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে লাইসোসোমাল স্টোরেজ ডিসঅর্ডারস (এলএসডি), নুলোম্যাটাস ডিজিজ, অস্টিওপেট্রোসিস, লিভার বা কিডনি প্রতিস্থাপন, গাউচাক রোগ , স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি, হারলার সিনড্রোম, ওলম্যান রোগের মতো রোগ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ২০১৭ সালে বিরল রোগের চিকিত্সার জন্য একটি জাতীয় নীতিমালা তৈরি করেছিল । কিন্তু সরকার কোন ক্ষেত্রে কতটা সাহায্য করবে সেই নিয়ে সুস্পষ্ট নীতি না থাকার কারনেই এই নীতি কার্যকর করতে বাধা পেতে হয়েছিল। এবার নতুন নীতিতে সেই সমস্যার সমাধান হয়েছে , উপকৃত হবে সারাদেশের দরিদ্র মানুষ।