ইরানের বিদেশ মন্ত্রীর সাথে ‘রাইসিনা বার্তালাপ-২০২০ তে নরেন্দ্র  মোদী

এই নিয়ে মধ্য প্রাচ্যে অবস্থার ক্রমাগত অবনতি হতে শুরু করেছে। আর সেই নিয়ে উদবিগ্ন ইরানের প্রশাসন । ইরানের  বিদেশমন্ত্রী জাভেদ জরিফ সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি ও জয়শংকরের সঙ্গে ইরান-মার্কিন সংঘাত নিয়ে দুজন কথাও বলেছেন।

তার আগে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ বৈঠক করেন তিনি। জাভেদ জরিফ রাইসিনা বার্তালাপ আলোচনাচক্রে এসে তার মতামত দেন । এদিন তিনি বলেন, “আপনারাও তো সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়ছেন। আমরাও লড়ছি ইসলামিক স্টেট ও আল কায়দার বিরুদ্ধে। সেই লড়াইয়ের প্রধান নেতা ছিলেন জেনারেল  কাসেম সোলেমানি তাঁকেই হত‌্যা করল আমেরিকা।

akur

 

তাহলে বুঝুন আমাদের লড়াই সাচ্চা নাকি আমেরিকার লড়াই সাচ্চা? সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা প্রধান সেনাপতিকেই মেরে আমেরিকা কি বার্তা দিল গোটা পশ্চিম এশিয়ার মানুষকে? সোলেমানির মৃত্যুর পর ভারতের ৪৩০টা শহরে প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়েছে। ভারতের মানুষও এর প্রতিবাদ করেছেন। তাহলে আমাদের ভুলটা কোথায়? আমেরিকা ইরান বা ইরাকের মানুষের চোখ দিয়ে পশ্চিম এশিয়ার সমস‌্যা দেখছে না। দেখছে নিজের মতো করে। আর আমাদের সমস‌্যাটা এখান থেকেই শুরু। কারণ আমেরিকা ইসলামিক স্টেটের বদলে আমাদের সন্ত্রাসবাদী মনে করছে”।

সব মিলিয়ে সপ্তাহ খানেক আগেই মধ্য পাচ্যের অবস্থা ছিলো সরগরম। কারন একে অপরকে ক্রমাগত আক্রমন করছে সেটা কেউ মেনে নিতে পারছি লো না। দুই পক্ষই ছিলো প্রচন্ড মারমুখি। আর তাতে চিন্তায় পরে দেশের আমজনতা। তাদের জীবন সংকটে পড়ে যায় । আর দুই দেশের মধ্যে বিবাদের বাতা বরণ তৈরি হয়।   দুই দেশ ইরান ও আমেরিকা ভারতের বন্ধু। চিন-পাকিস্তান যুগলবন্দিকে রুখতে নিজের স্বার্থে ভারতের দরকার ইরানকে। দরকার আমেরিকাকেও। তাই ইরান-আমেরিকা সংঘাতে আখেরে ক্ষতি ভারতেরও। এমন কি এইদিন মোদী আশবস্ত করেন যে ভারত এই নিয়ে মধ্য প্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে  সহায়তা করবে।

 

সম্পর্কিত খবর