এবার থেকে রাজ্যে নয়া নিয়ম আনছে সরকার। কারণ চলতি বছরের এপ্রিল থেকে আঙ্গুলের ছাপে মিলবে রেশন । এর আগে বেশ কয়েকবার রাজ্যে এই নিয়ম নিয়ে দেখা গেছে অনেক সমস্যা। রেশন না পাওয়ার খবর পেয়ে চিন্তিত হয়ে পরে আমজনতা। কিন্ত এবার সব জল্পনার অবসান করে এপ্রিলে আস্ব নয়া নিয়ম।আঙ্গুলের ছাপে মেশিনে দিলে বোঝা যাবে আপনি এর গ্রহন কর্তা । বহু বছর ধরে বিভিন্ন রাজ্যে এ কথা শোনা যাচ্ছে যে দারিদ্র্যসীমার নিচে যে সব ব্যক্তিরা রয়েছেন তারা এই সরকারের দু টাকা কেজি চালের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
আর সে সব লোকেরা রেশন দোকান থেকে ১৩ টাকা কেজি দরে চাল কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে এবার সরকার এসব অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে নতুন করে একদফায় ফর্ম ফিলাপ শেষ করেছেন রেশন কার্ডের সাথে আধার কার্ডের সংযুক্তিকরণ। রাজ্যের প্রায় ৭ কোটি ১৮ লক্ষ রেশন গ্রাহকের আধার নম্বর সংযুক্তিকরণের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব রেশন গ্রাহকের আধার নম্বর সংযুক্তিকরণ হয়ে যাবে বলে খাদ্য দপ্তর আশা করছে। কেন্দ্রীয় সরকার এই কাজ সম্পন্ন করার সময়সীমা বাড়িয়ে ৩১ মার্চ পর্যন্ত করেছে। এই মাধ্যমে রেশন ব্যবস্থায় আর কোনরকম অসুবিধা থাকবেনা বলে মনে করা হচ্ছে । এমন কি এই নতুন সুবিধার কতা মাতাহ্য রেখেই আনা হবে এই নিয়ম। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই রেশন দোকান গুলিতে ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অব সেলস (ই-পস) যন্ত্র পাঠানো হবে। কারন এর মাধ্যমেই গ্রাহকদের আঙ্গুলের ছাপ নথিভুক্ত করা হবে।
৩৫ লক্ষ রেশন গ্রাহক এখন রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় নতুন রেশন কার্ড পাবেন। চলতি মাসের মধ্যে রাজ্যের মোট রেশন গ্রাহকের সংখ্যা খাদ্য দপ্তরের জানানোর ব্যবস্থা করা হবে। এখন জাতীয় ও রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় রেশন গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ৯ কোটি ১৮ লক্ষ।এখন দেখার বিষয় কতটা তা বাস্তবে হয়।