নাগরিকত্ব সংশোধন আইনকে নিয়ে একদিকে যেমন সারা দেশে হিংসক বিক্ষোভ চলছিল, এবং এখনো চলছে,অন্যদিকে পাকিস্তানের এক হিন্দু মহিলা এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার খবর সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। জানিয়ে দি যে ,নীতা কানওয়ার নামে একজন হিন্দু মহিলা যিনি পাকিস্তান থেকে প্রতারিত হয়ে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় ভারতে এসেছিলেন, তিনি পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করতে চলেছেন। 2019 সালের সেপ্টেম্বরে, নীতা ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন এবং এখন তিনি রাজস্থানের টঙ্ক জেলার নাটওয়াদা গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে সরপঞ্চ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন। খবর অনুযায়ী জানা গেছে যে নীতা ২০০১ সালে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশ থেকে যোধপুরে এসেছিলেন।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়ে পাকিস্তানের হিন্দু মহিলা নীতা কানওয়ার বলেছিলেন, ‘আমি কেবল এইটুক জানি যে শুধুমাত্র CAA-র দ্বারা ভারতে ভালো জীবনযাপন ও সুশিক্ষা অর্জন করা সম্ভব। সোধা রাজপুত সমাজের মহিলা হিসাবে আমরা আমাদের জাতির মধ্যে বিবাহ করতে পারি না। আমাদের সমাজ ভারতে বাস করে এবং বেশিরভাগ লোক যোধপুরে বাস করে। আমি ২০০১ সালে কলেজের পড়াশোনা করার জন্য এবং তারপর উপযুক্ত বরের প্রাপ্তির জন্য পাকিস্তান থেকে যোধপুরে এসেছি।
Tonk: Neeta Sodha, an immigrant from Pakistan who was recently given Indian citizenship is contesting panchayat elections in Natwara, says,"I came to India 18 yrs back but I was given nationality just 4 months ago. My father-in-law guides me in my political journey." #Rajasthan pic.twitter.com/BUGeZmrixq
— ANI (@ANI) January 17, 2020
নীতা ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য তার সংগ্রাম সম্পর্কে বলেছিলেন যে তিনি তিন বছর ধরে লড়াই করে যাচ্ছিলেন এবং গত বছরের সেপ্টেম্বরে টঙ্ক প্রশাসন তার নাগরিকত্বের আবেদন গ্রহণ করেছিলেন। এর সাথে তিনি বলেছিলেন যে “এখন আমি নাটওয়াদা আসন থেকে পঞ্চায়েত প্রধান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। এই আসনটি সাধারণ মহিলা প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত। আমি লিঙ্গ সমতা, মহিলা ক্ষমতায়ন এবং গ্রাম উন্নয়নের জন্য কাজ করব। ”
নীতা ভারত থেকে তার পড়াশোনা করেছেন। ২০০৫ সালে তিনি আজমির সোফিয়া কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ২০১১ সালে পুনিয়া প্রতাপ করণ নামে এক যুবকের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। জানিয়ে দি যে, কানওয়ার পাকিস্তান থেকে ভারতে তার বিবাহিত বোন অঞ্জনা যিনি যোধপুরে থাকতেন তার কাছে এসেছিলেন।