বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রক্তদান শিবিরে গিয়ে রক্ত দিলেই দেওয়া হবে সরস্বতী পুজোর অনুমতি। কোন ক্লাব অথবা কোন রাজনৈতিক দল না। এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। ৩৮ বছর ধরে ওই স্কুলে কোন পুজো হয়নি, তাই এবার পুজো করার জন্য স্কুলের পড়ুয়ারা স্কুল কর্তৃপক্ষের শর্ত অনুযায়ী গিয়ে রক্ত দিয়ে আসে। কিন্তু রাজনৈতিক নেতাদের মতো স্কুল কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতিই সার। দেওয়া হল না পুজোর অনুমতি।
সরস্বতী পুজোর দুদিন আগে পড়ুয়াদের স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে, স্কুলে পুজো হবেনা। রক্ত দেওয়ার পরেও অনুমতি দিলো না স্কুল কর্তৃপক্ষ। এবার ন্যায্য দাবীতে স্কুল গেট আটকে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা। এই স্কুল হাওড়া ময়দানের কাছেই। এবছরের শুরু থেকেই পড়ুয়ারা স্কুলে সরস্বতী পুজোর দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু পড়ুয়াদের কোন দাবিই মানল না স্কুল কর্তৃপক্ষ। পড়ুয়ারা এও জানিয়েছে যে, স্কুলের থেকে এক পয়সাও নেবেনা তাঁরা, সম্পূর্ণ পুজোর খরচ তাঁরা নিজেরাই দেবে। কিন্তু তাতেও রাজি হল না স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এই বিষয়ে স্কুলেরই এক ছাত্র জানায়, আমরা অনেক আবেদন করেছি পুজো করার। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোন মতেই রাজি হতে চাইছে না। এমনকি আমরা নিজেরাই চাঁদা তুলে পুজো করার দাবি করেছিলাম। কর্তৃপক্ষ তাতেও গলছে না। উলটে আমাদের হুমকি এবং ভয় দেখাচ্ছে প্রিন্সিপাল। কর্তৃপক্ষ এও জানিয়েছিল যে, রক্তদান শিবিরে অংশ নিলে পুজো করতে দেওয়া হবে। আমরাও শর্ত মতো কথা রেখেছি। কিন্তু এবার তাঁরা নিজেদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি নিজেরাই পালন করছে না।
এই বিষয়ে স্কুলের প্রিন্সিপাল অমিতাভ দত্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান। উনি বলেন, স্কুলে চার হাজার ছাত্র আছে আর শিক্ষকেরাও আছে। আমরা সবার সাথে কথা বলেই কোন সিদ্ধান্ততে আসব। গত ৩৮ বছরে কোন পুজো হয়নি স্কুলে, তবে এবার জিনিষটি মাথায় রাখা হচ্ছে।