গল্পে শোনা গেছে বাড়ির তলা থেকে মিলেছে সোনা, গুপ্তধন । তবে এতোদিন আমরা জানতাম এসব গল্পের বইয়ে হয়। বা সিনেমার গল্পে হয়। রাতারাতি গুপ্তধন পাওয়া গেলো আর সেখান থেকে মনি মানিক্য, সোনা , হিরে এসব পেয়ে জীবন একেবারে বদলে গেলো।পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের মাহাতা গ্রামে মিলেছে এক গোপন সুরঙ্গ ।
কিছুদিন ধরেই বাড়ি তৈরি করতে খোঁড়াখুড়ি চলছিল। আর সেই খোড়াখুড়ির সময় বেরিয়ে আসে সাতফুট লম্বা ও চার ফুট চওড়া সুড়ঙ্গ। আর সেই খবর ছড়িয়ে যেতেই লোক জড়ো হতে বেশি সময় লাগেনি। আর সোনার মোহর দেখার জন্য লোকের ভিড় ছিলো দেখার মতন যদি শিকে ছেঁড়ে, যদি পাওয়া যায় কয়েকটা মোহর! তবে ফাঁকা সুড়ঙ্গে গুপ্তধন মেলেনি, খালি রয়ে গেছে মোহরের স্বপ্নটা।
আর এই পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসন নেমে পড়ে সুড়ঙ্গে। গুহা রক্ষায় শেষ অব্দি পুলিশ পিকেট বসে । আবার ভাতারের সঙ্গেও ইতিহাস যোগ রয়েছে। মনসামঙ্গল কাব্যে বর্ণিত বেহুলার বাপের বাড়ি ছিল এই এলাকায়। কেউ কেউ মনে করছেন যে এই সুরঙ্গ ছিলো ওই এলাকার অংশ। কিন্তু তার কনো সঠিক প্রমান মেলেনি।