বিগত কয়েকদিন ধরেই ইয়েস ব্যঙ্ক নিয়ে নানা কথা শোনা গেছে। এবার তার মধ্যে জড়িয়ে গেছে গান্ধী পরিবার। সর্বোচ্চ ৫০ হাজারের বেশি টাকা কোনও গ্রাহক তুলতে পারবেন না, জানিয়েছে ইয়েস ব্যঙ্ক। ইয়েস ব্যাঙ্কের কাজকর্মের সূচনা এবং কাজ চালিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপ হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শনিবার রাতে ইয়েস ব্যাঙ্কের তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে, “আপনারা এবার থেকে ইয়েস ব্যাঙ্কের ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে টাকা তুলতে পারবেন। আপনাদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ।” আবার শনিবার স্টেট ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান রজনীশ কুমার জানিয়েছেন, “অনেকেই বিনিয়োগ করতে চাইছেন। স্কিম দেখে তাঁরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। যদি কোনও বিনিয়োগকারী ৫ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ করতে চান, তাহলে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশিকা অনুযায়ী কাজ করতে হবে তাঁদের।”এসবের মধ্যে আবার YES ব্যাংক নিয়ে ছড়িয়ে পড়া চাঞ্চল্য নিয়ে পুরো কংগ্রেস পার্টি মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমনে নেমেছিল। তবে এখন খেলা অনেকদূর এগোতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এই যে, গান্ধী পরিবারের সাথে Yes Bank এর সংস্থাপক রানা কাপুরের লিংক পাওয়া গেছে। জানা যাচ্ছে রানা কাপুর প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর পেন্টিং ২ কোটি টাকা মূল্যের বিনিময়ে ক্রয় করেছিলেন।আর এসবের মধ্যে এখন চূড়ান্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ভারত জুরে। সারা দেশে যারা ইয়েস ব্যঙ্কের গ্রাহক তারা চাপে পড়ে গেছেন। এর মধ্যে আবার গতকাল রাতেই রানা কাপুরকে প্রেফতার করেছে ইডি। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি কোন্দিকে যাবে তা এখনো বলা যাচ্ছে না।
শুক্রবার থেকেই রানা কাপুরকে কেন্দ্র করে বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে রাজনৈতিক আক্রমন , পাল্টা আক্রমণ শুরু হয়েছিল। বিজেপি শুক্রবার দিন রানা কাপুরের সাথে পি চিদাম্বরমের ছবি দেখিয়ে কংগ্রেসের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল। অন্যদিকে কংগ্রেসও পুরো দায় মোদী সরকারের উপর চাপিয়ে ছিল। কিন্তু এখন খবর মিলছে যে, UPA সরকারের সময় রানা কাপুর প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ছবিকে ২ কোটি মূল্য দিয়ে কিনেছিলেন। তবে রানা কাপুরের সাথে গান্ধী পরিবারের লিঙ্ককে মানতে রাজি নয় কংগ্রেস। অবশ্য তাদের দাবি যদি কেউ ছবি কেনা বেচা করে এতে লিংক হয়ে যায় না, এটা শুধুমাত্র ব্যাবসা।