বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বুকের কষ্ট বুকে নিয়েই বাড়ি ফিরল তৃণমূল (tmc) কর্মী। রবিবার বিকেলে রাজগঞ্জের ( Rajganj) শ্রীসঙ্ঘ ক্লাবে তৃণমূলের পুরোনো কর্মীদের দলে ফেরাতে আয়োজন করা হয়েছিল স্বীকৃতি সম্মেলন। এই সম্মেলনে যোগ দিয়ে মনের সমস্ত রাগ উগরে দিয়ে হালকা হওয়া যাবে, মিলেছিল এমন আশ্বাস। এই কথা শুনেই সভায় এসেছিলেন রাজগঞ্জ ব্লকের প্রথম দিনের তৃণমূল কর্মী বরুণ রায় (Varun Roy)।
ছেলের চাকরির জন্য আট লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন স্থানীয় এক তৃণমুল নেতা। স্বীকৃতি সম্মেলনে ডাক পাওয়ার পর সেই ক্ষোভের কথা জানাবেন ভেবেছিলেন। কিন্তু মনের আশা পূরণ হল না। কিন্তু অভিযোগ সেই সভায় এসে তিনি জানতে পারেন তাকে কিছু বলতে দেওয়া হবে না। এই কথা শুনে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার পথে সংবাদমাধ্যমের কাছে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি।
তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী অবশ্য টেলিফোনে জানান এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তিনি বলেন, “উনি চাইলে অনেক আগেই আমাদের জানাতে পারতেন। এখনও তিনি আলাদা ভাবে জানাতেই পারেন। এই স্বীকৃতি সম্মেলনে আসা বেশিরভাগ পুরনো কর্মী খুশি। অনুষ্ঠান পুরোপুরি সফল।”
বরুনবাবুর অভিযোগ, এই ধরনের সভা আয়োজন করে লাভ কিছু হবে না। কারণ মনের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেওয়া হল না। তাঁকে ভুল বুঝিয়ে আনা হয়েছে। তাঁর অনেক কিছু বলার ছিল। কিন্তু বলতে দেওয়া হল না কিছুই। তিনি বলেন, “এই ব্লকে দল প্রতিষ্ঠা করেছিলাম আমরা। আমার ছেলের প্রাইমারি স্কুলে চাকরির ব্যাপারে স্থানীয় উচ্চ নেতৃত্ব আমার কাছ থেকে আট লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন। কাটমানি নিয়ে নেত্রী সরব হলেও কাটমানি খাওয়া প্রতিদিন বাড়ছে। ১০০ দিনের কাজের টাকা থেকেও কাটমানি নেওয়া হচ্ছে। এইসব তথ্য দলকে দেব বলে এসেছিলাম। হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছি।”