বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লকডাউনের (Lockdown) কারণে মানুষের যাতে কোন সমস্যা না হয়, সেইজন্য মানুষের বাড়িতে বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী এবং প্রয়োজনীয় জিনিষ পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছে পুলিশ প্রশাসন। মানুষের কাছে আবেদন করা হচ্ছে যে, তাঁরা যেন ঘরেই বসে থাকে আর প্রশাসন দ্বারা জারি করা নাম্বারে ফোন করে প্রয়োজনীয় দ্রব্য বাড়িতে চেয়ে নেয়।
প্রশাসনের এই ব্যবস্থার দুর্ব্যবহার করার মানুষেরও অভাব নেই। উত্তর প্রদেশের রামপুর (Rampur) জেলায় ডোরস্টেপ ডেলিভারির ব্যবস্থার আড়ালে পুলিশের সাথে ইয়ার্কি করা এক যুবকের বিপদ ডেকে আনল। রামপুরের বাসিন্দা এক যুবক রবিবার রাতে হেল্পলাইন নাম্বারে ফোন করে পুলিশকে তাঁর বাড়িতে সিঙ্গারা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বলে।
পুলিশ প্রথমেই যুবক ইয়ার্কি মারছে বুঝতে পেরে একবার না করে দেয়, কিন্তু হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরেও যুবক নাছোড়বান্দা হয়ে পড়ে, আর পুলিশকে বাধ্যতামূলক যুবকের বাড়িতে সিঙ্গারা পৌঁছে দিতে হয়। পুলিশ সিঙ্গারা তো দিয়ে দেয়, কিন্তু সরকারি ব্যবস্থার দুর্ব্যবহার করার জন্য তাঁকে কঠোর সাজাও দেওয়া হয়।
রামপুরের জেলাশাসক রবিবার রাতে ট্যুইট করে জানান, যুবক নিজের বাড়িতে চারটি সিঙ্গারা পাঠানোর জিদ করছিল। তাঁকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, কিন্তু এরপরেও যুবক নিজের জিদ বজায় রাখে, আর তাঁর বাড়িতে পুলিশ সিঙ্গারা নিয়ে পৌঁছায়। এরকম করে সে কন্ট্রোল রুমকে বিরক্ত করার কাজ করেছে।
4 समोसा भिजवा दो… चेतावनी के बाद आखिर भिजवाना ही पड़ा।
अनावश्यक मांग कर कंट्रोल रूम को परेशान करने वाले व्यक्ति से सामाजिक कार्य के तहत् नाली सफाई का कार्य कराया गया। pic.twitter.com/88aFRxZpt2— DM Rampur (@DeoRampur) March 29, 2020
আর এর সাজা হিসেবে তাঁকে নর্দমা পরিস্কার করতে দেওয়া হুয়। ডিএম নর্দমা পরিস্কার করার সময় সিঙ্গারা বাড়িতে ডেলিভারি দেওয়া যুবকের ছবি ট্যুইট করে লেখেন, ‘নর্দমা পরিস্কার করে সামাজিক কাজে যোগদান করে প্রশাসনের ব্যবস্থার দুর্ব্যবহার করা ব্যাক্তি। উনি আরও লেখেন, জাতীয় দুর্যোগের সময় সবার সহযোগিতা একান্ত কাম্য। সবার কাছে আবেদন, আপনারা দায়িত্ববান নাগরিক হন। সুস্থ থাকুন। সুরক্ষিত থাকুন।