বাংলাহান্ট ডেস্ক: এখন ইউটিউবে একটি ভিডিওই ট্রেন্ডিং, ‘গেন্দা ফুল’। বাদশা ও পায়েল দেবের গাওয়া এই গানের ভিডিও এখন মুখে মুখে ঘুরছে মানুষের। কিন্তু আসলে এই গান যার সৃষ্টি তিনি বীরভূমের মানুষ, নাম রতন কাহার। তাঁর লেখা ও সুর দেওয়া এই গানই দীর্ঘদিষ ধরে শুনে আসছে বাঙালি। অথচ স্রষ্টারই নাম নেই ভিডিওতে। বালাই নেই কৃতজ্ঞতা স্বীকারেরও। বহু বিতর্কের পর এখন শুধু ক্রেডিটে বেঙ্গলি ফোক সংয়ের উল্লেখ। এসবই শুনেছেন, জানেন রতন কাহার। তাঁর শুধু একটাই প্রার্থনা, প্রাপ্য সম্মানটুকু যেন পান তিনি।
৭২ সালে প্রথম এই গানটি সৃষ্টি করেন রতন। মলয় পাহাড়ি গানটি আকাশবানীতে নিয়ে যান। বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল তখনই। তারপরেই স্বপ্না চক্রবর্তী রতনের থেকে গানটি নিয়ে নিজের বলে চালিয়ে দেন। রেকর্ডিং কোম্পানিতে গিয়েও স্বীকৃতি পাননি রতন কাহার। ছোটবেলা থেকেই গানের সঙ্গে যুক্ত তিনি। একসময় আলকাপ, লোটোও করেছেন। এই সূত্রেই সৃষ্টি হয় এই কালজয়ী গান।
রতনের কথায়, “আমি যখন গান গাইতে আসি তখন সিউড়িতে একটা পতিতালয় ছিল। সেখানকার মেয়েরা আমার গান বেশ পছন্দ করত। তাদের এক লিডার হরিদাসী আমায় ডেকে পাঠিয়েছিলেন। ওখানে ঝুমু্র ও খ্যামটার আসর বসত। সেখানেই গান গাইতে গিয়ে তাঁর মুখে এক মেয়ের কথা শুনি। তারপরেই গান বাঁধি”।
জীবনে গান ছাড়া কিছুই শেখেননি রতন কাহার। এখনও গান বাজনা নিয়েই পড়ে আছেন। গান লিখে, অনুষ্ঠান করে আর ছেলে মেয়েদের রোজগারে সংসার চলে। জানালেন, পূর্ণদাস বাউল, শিলাজিৎ সহ অনেক নামজাদা শিল্পীকেই গান দিয়েছেন। পরিবর্তে পেয়েছেন প্রাপ্য সম্মান, স্বীকৃতি। বাদশার কাছে একটাই অনুরোধ রতন কাহারের। তাঁকে তাঁর প্রাস্য সম্মানটা দিন। তাতে তাঁর সম্মান বাড়বে বই কমবে না।