বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা (COVID-19) পরিস্থিতি সামাল দিতে সমগ্র বিশ্ব এখন একত্রিত হয়েছে। করোনা ভাইরাসের হাত থেকে মুক্তির উপায় খুঁজতে মরিয়া সব দেশ। এই অবস্থায় ভারতের (India) বিভিন্ন সংস্থা একত্রিত হয়ে করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধক ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ করছে। এই কাজে DRDO ও সামিল আছে। বর্তমানে করোনা চিকিৎসকদের সুরক্ষার জন্য DRDO প্রয়োজনীয় সুরক্ষা উপকরণ তৈরি করছে।
সম্প্রতি DRDO মেডিক্যাল এবং প্যারা মেডিক্যাল স্টাফদের জন্য রেডিওলজিক্যাল এমারজেন্সিতে কাজ করার জন্য একধরনের বডিস্যুট (Body suit) বানিয়েছিল। এখন বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য মেডিক্যাল এবং প্যারা মেডিক্যাল স্টাফদের জন্য সেই বডিস্যুটকে ফুলবডিস্যুটে রূপান্তিরিত করে দেয় তাঁরা। এবার এই বডিস্যুট মেডিক্যাল এবং প্যারা মেডিক্যাল স্টাফদের করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে। আবার কাজের শেষে এই বডিস্যুট ধোয়াও যাবে। এএসটিএম ইন্টারন্যাশানাল এর তরফ থেকেই এই বডিস্যুট সম্মতি প্রাপ্ত হয়েছে।
DRDO এবং অন্যান্য এজেন্সি মারফত এই ফুলবডিস্যুট ভালো ভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। এক একটি স্যুটের দাম পড়েছে প্রায় ৭ হাজার টাকা করে। ফ্রন্ট এয়ার প্রোটেক্টিভ ভি আর প্রাইভেট মিলিটেড, কলকাতা অর মেডিক্যাল প্রাইভেট মিলিটেড এবং মুম্বাই প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার এই বডিস্যুট বানাচ্ছে। DRDO মাস্ক, ভেন্টিলেটর এবং স্যানেটাইজারও বানাচ্ছে। অফিসিয়াল ওয়েবসাইট PIB অনুসারে DRDO প্রথম মাসে প্রায় ৫ হাজার এবং পরে প্রায় ১০ হাজার ভেন্টিলেটর উৎপাদন করতে সক্ষম হবে।
করোনা ভাইরাসের জন্য N99 মাস্ক অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ভেন্ডারস মিসরস, ভিনাস ইন্ডাস্ট্রি মুম্বাই এবং IMTIC কলকাতার কোম্পানির মাধ্যমে এই মাস্ক বানানো হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার করে মাস্ক বানাচ্ছে এবং দাম পড়ছে এক একটি প্রায় ৭০ টাকা করে। এছাড়াও DRDO হ্যান্ড স্যানেটাইজারও বানাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্রিও করা হয়েছে। প্রায় ৪০০০ লিটার ভারতের সরক্ষা বিষয়ক প্রতিনিধিদের জন্য দেওয়া হয়েছে। আবার ১৫০০ লিটার সরক্ষা মন্ত্রালয়কে, ৩০০ লিটার সংসদে এবং ৫০০ লিটার বিভিন্ন সুরক্ষালয় এবং কার্যালয়কে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে DRDO শুধুমাত্র দেশের সুরক্ষা নয়, সাধারণ মানুষের সুরক্ষার বিষয়েও এখন লড়ছে।