বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিজামুদ্দিনের (Nizamuddin) মরকজের (Markaz) প্রধান মৌলানা সাদ (Moulana Saad) যখন দিল্লী পুলিশ আর সুরক্ষা এজন্সিকে মসজিদ খালি করতে বাঁধা দিয়েছিল। তখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA) অজিত দোভালকে (Ajit Doval) এই কাজের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বরিষ্ঠ আধিকারিক অনুযায়ী, দোভাল ২৮-২৯ মার্চ রাত দুটো নাগাদ মরকজে গেছিলেন আর মৌলানা সাদকে রাজি করিয়েছিলেন যে, সেখানে উপস্থিত মানুষের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থাকতে পারে আর সেই জন্য তাঁদের যেন কোয়ারেন্টাইনে পাঠাতে দেওয়া হয়।
শাহ আর দোভাল এই পরিস্থিতি নিয়ে অবগত ছিলেন, কারণ সুরক্ষা এজেন্সি গুলো তেলেঙ্গানার করীমনগরে নয়জন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিকদের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট হওয়ার কথা জানিয়েছিল। তাঁরা সবাই ১৮ই মার্চ মরকজে অংশ নিয়েছিল। সুরক্ষা এজেন্সি গুলো মরকজে সংক্রমণের ব্যাপারে তারপরের দিনই রাজ্য পুলিশকে সূচনা দিয়েছিল। মরকজ থেকে ২৭, ২৮ আর ২৯ মার্চ ১৬৭ তাবলীগ কর্মীদের হাসপাতালে ভরত করার অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু দোভালের হস্তক্ষেপের পরেই জামাত নেতৃত্ব মসজিদকে স্যানিটাইজ করার অনুমতি দিয়েছিল। দোভাল বিগত কয়েক বছরে ভারত আর বিদেশে থাকা বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনের সাথে খুব ভালো সম্পর্ক বানিয়েছেন।
হিন্দুস্তান টাইমস এর রিপোর্ট অনুযায়ী, দোভালের সাথে সমস্ত মুসলিম উলেমা রাষ্ট্রীয় রণনীতি বানানোর জন্য যোগাযোগ করেছে। এই অপারেশন দ্বিতীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। এবার সুরক্ষা এজেন্সি গুলো ভারতে থাকা বিদেশীদের খোঁজ চালাচ্ছে। তাঁদের মেডিকেল পরীক্ষণ আর ভিসা মানদণ্ডের লঙ্ঘন নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা হচ্ছে।
দিল্লীর নিজামুদ্দিনে হওয়া মরকজে ২১৬ জন বিদেশী নাগরিক অংশ নেওয়ার জন্য এসেছিলেন। আর দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে ৮০০ এর বেশি মানুষ জড় হয়েছিলেন। বিদেশীদের মধ্যে বেশীরভাগ ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া আর বাংলাদেশি ছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয় জানায়, জানুয়ারি থেকে এখনো পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার বিদেশী নাগরিক মরকজে অংশ নিয়েছে।