বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চীন (Chaina) শেষ পর্যন্ত তাঁদের আসল রূপ পাকিস্তানকে (Pakistan) দেখিয়েই দিল। একসময়কার গাড় বন্ধুত্বকেও ভুলে গেল চীন। সম্প্রতি ভারত (India) ডোমোসাইল লো জারী করেছে কাশ্মীরে। যা পাকিস্তানের গায়ে তীরের মতো বিঁধেছে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান চীনের কাছে সাহায্যের জন্য যায় এবং চীনকে অনুরোধ করে এই নিয়ম ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য।
পাকিস্তান ভেবেছিল চীন তাঁকে সাহায্য করবে। কিন্তু চীন পাকিস্তানের সব আশায় জল ঢেলে দিয়ে, পাকিস্তানকে সাহায্য করবে না বলে জানিয়ে দেয় চীন। এই সময় ভারতের কূটনীতি সরাসরি কাজে আসে। চীনের বিরুদ্ধে এখন বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ সোচ্চার হয়েছে। কারণ চীন তাঁদের ত্রুটিপূর্ণ চিকিৎসা সরঞ্জাম বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছে। এই কারণে বিভিন্ন দেশ এখন চীনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে।
কিন্তু ভারত এখন চীনের বিরুদ্ধে সেভাবেও প্রতিরোধ করেনি। কারণ, চীন এখন তাঁদের খারাপ কাজের জন্য বেশি পরিমাণে দেশকে তাঁদের পাশে পাবে না। আর এই সময় ভারতের মতো ১৩০ কোটির দেশের সমস্ত নাগরিক যদি এখন চীনের বিরুদ্ধে একজোট হয়, তাহলে চীনের পক্ষে তা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করবে।
অন্যান্য দেশ এখন চীনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কিন্তু এই সময় ভারত যদি চুপ করে থাকে, তাহলে চীন ভাববে ভারত তাঁদের পাশে আছে। চীন এইসময় আরও বেশি করে চাইবে, ভারতের পাশে দাঁড়াতে। যার ফলে সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভারত কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাকিস্তানকে চুপ করাতেও পারবে। আবার এই পরিস্থিতিতে ভারত চীনকে ব্যবসায়িক দিক থেকেও ধাক্কা দিতে পারবে। ভারত কূটনৈতিক চাল দিয়ে পাকিস্তানকে সাহায্যের বিরুদ্ধে করতে পেরেছে চীনকে। এটাই ভারতের কাছে একটা বড়ো পাওনা।