ভারত সরকার করছে ভাইরাস থেকে জনগণকে বাঁচানোর পস্তুতি, পাকিস্তান করছে কবরের ব্যাবস্থা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একদিকে যখন ভারত (India) ভাইরাস থেকে জনগণকে বাঁচাতে সমস্ত শক্তি লাগিয়ে দিয়েছে তখন পাকিস্তান (Pakistan) যে কান্ড শুরু করেছে তা যে কোনো দেশের জন্য লজ্জাজনক। ভারতের সাথে সবসময় ঝামেলায় লিপ্ত থাকতে চায়। তবে ভারত এবং পাকিস্তানের চিন্তা ভাবনায় কিন্তু আকাশ পাতাল ফারাক আছে তার প্রমান আবারও পাওয়া গড়ল। ভারত করোনা ভাইরাসের (COVID-19) হাত থেকে নিজের দেশের নাগরিকদের সুরক্ষার বিষয়ে সব সময় চিন্তিত। নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালকে মজবুত করছে। করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় মাস্ক N95 রয়েছে প্রায় ১১ লক্ষ ৯৫ হাজার।

pm modi

এছাড়া ভারতের দুই অভ্যন্তরীণ সংস্থা প্রতিদিন ৫০ হাজার N95 মাস্ক প্রস্তুত করছে, যা পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে ১ লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে।অন্যদিকে DRDO করোনা প্রতিরোধের জন্য আগামী সপ্তাহ থেকে প্রতিদিন ২০ হাজার করে N95 মাস্ক প্রস্তুত করবে। আবার DRDO চিকিৎসা কর্মীদের সুরক্ষার জন্য ফুলবডি  স্যুটের ডেলভারিও শুরু করে দিয়েছে। এছাড়াও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রালয় দেশের সুরক্ষা প্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং মাস্কের বিষয়ে জানান, দেশের হাসপাতালগুলোতে প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ PPE মজুত আছে। আবার বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ PPE ভারতে আমদানি করা হচ্ছে। দেশে PPE এর ১১ টি অভ্যন্তরীণ সংস্থা রয়েছে। তাঁদের সুরক্ষার বিষয়েও নজর দেওয়া হচ্ছ এবং তাদেরকে ২১ লক্ষ PPE এর অর্ডারও দেওয়া হয়েছে। এই সংস্থাগুলো প্রতিদিন ৬-৭ হাজার পিস PPE সাপ্লাই দেবে। যা এপ্রিলে বেড়ে গিয়ে ১৫ হাজার করে সাপ্লাই দেবে।

imran khan 2 1581940155

কোয়ারেন্টাইন করার জন্য রেল পরিষেবা থেকে বেসরকারী হাসপাতাল এবং বিভিন্ন বড়ো বড়ো বিল্ডিং নিচ্ছে সরকার। এই সমস্ত কিছুই ভারত করছে নিজের দেশের নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য।অন্যদিকে, পাকিস্তানে করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুর পর কবর দেওয়ার জন্য সিন্ধ সরকার করাচিতে ৮০ একর জমি ঘোষণা করেছেন। ইতিমধ্যে ১০০ জনকে কবর দেওয়াও হয়ে গেছে। পাক সরকার করোনা মৃতদের জন্য আলাদা করে কবর স্থান বানাচ্ছে, কারণ এই রোগ যাতে আর সবার মধ্যে ছড়িয়ে না পড়ে। সেই কারণে সাধারণ কবরস্থাকে বাদ দিয়ে করাচি শহরের ন্যাশানাল হাইওয়ে এবং সুপার হাইওয়ের সংযোগস্থলে বানানো হয়েছে নতুন কবরস্থান।

57568a2667711

এইভাবে মোট ৫ টি কবরস্থান বানিয়েছে পাক সরকার।এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের অধিবাসিদের অভিযোগ পাক সরকার নাগরিকদের সুরক্ষার বিষয়ে কেন জোর দিচ্ছেন না? পাকিস্তানে সঠিকভাবে লকডাউন অবস্থা জারী করা হয়নি, আবার দরিদ্রদের খাবারের বিষয়টাও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে না। এমনকি চিকিৎসকদের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রীও দেওয়া হচ্ছে না। সেখানে ডাক্তাররা প্লাস্টিক পড়ে রোগীদের চিকিৎসা করছে। এই পরিস্থিতিতে পাক নাগরিক সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে বলছে, যে সরকার তাঁর নাগরিকদের জীবন সুরক্ষিত করার দিকে নজর না দিয়ে কবরস্থান (Cemetery) তৈরির দিকে বেশি নজর দিচ্ছে।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর