মেয়েরা করল বাবার শেষকৃত্য, লকডাউনের পরিস্থিতিতে চার মেয়ে কাঁধে করে শ্মশানে নিয়ে গেল শবদেহ

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দেশ যখন করোনা (COVID-19) আতঙ্কে ভুগছে, তখন অন্যদিকে দেখা গেল এক বিরল দৃশ্য। যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া পিতাকে কাঁধে করে শ্মশানে নিয়ে গেল চার কন্যা (Daughter)। করোনা সংকটের ফলে নিজের ঠিকমতো চিকিৎসা করতে পারনেনি মৃত সঞ্জয় কুমার। গত শনিবার এই দৃশ্য সামনে আসায় আলীগড়বাসী (Aligarh) কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

আলীগড়ের বনানাদেবী থানার অন্তর্গত নুমাইশ ময়দানের চা-হেলিংয়ের বাসিন্দা ছিলেন বছর ৪৫ এর সঞ্জয় কুমার। পেশায় একজন চা বিক্রেতা ছিলেন তিনি। পাঁচ মেয়ে এবং স্বামী- স্ত্রীর সংসার ছিল তাঁদের। কাজকর্মে তেমন সফলতা না আনতে পারায় অভাবে দিন কাটত তাঁদের। প্রায় ৬ মাস আগে সঞ্জয় জানতে পারে তিনি যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এবং এরপর থেকেই তিনি জেলা হাসপাতাল থেকে ওষুধ এনে খেতেন।

ddddddddddddddddd

চরম দারিদ্রতার মধ্যেও কারো কাছে হাত পাতেননি তিনি। সঞ্জয়ের ৫ মেয়ের মধ্যে এক মেয়ে বিবাহিত। এবং বাকিরা বাবার শারীরিক অসুস্থতার কারণে স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দেয় কিছু দিন ধরেই সঞ্জয়ের শারীরিক অবস্থায় অবন্নতি দেখা দেয়। কিন্তু বর্তমানে লকডাউন অবস্থা জারী হওয়ায়, ওষুধপথ্য শেষ হয়ে যাওয়ায় ঠিক মতো কিনতে যেতে পারেননা তিনি। সঠিক চিকিৎসার অভাবে মারা যান তিনি।

দেশজুড়ে এই লকডাউন অবস্থার মধ্যে কাউকে পাশে না পেয়ে মৃতের চার মেয়েই ছেলের কাজ করল। মৃত সঞ্জয়কে কাঁধে করে শ্মশানে নিয়ে গিয়ে তার শেষ কৃত্য সম্পন্ন করল তার মেয়েরাই। আলীগড়ের তালাবন্ধের কারণে গত শনিবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই, কান্নার রোল ওঠে গোটা আলীগড়ে।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর