বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত সপ্তাহে কেন্দ্র সরকার ভারতীয় সেনার (Indian Army) অবসরপ্রাপ্ত ডাক্তারদের (Retired Doctors) চেষ্টা করার জন্য আর কাজে ফেরত আসার জন্য আবেদন করেছিল, কারণ করোনা ভাইরাসের মহামারীকে রুখতে গেলে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ডাক্তার আর স্বাস্থ কর্মীদের পাশে থাকা খুব দরকার। ভারতের এই অভাব প্রথম দেখেই দেখা যাচ্ছে। কেন্দ্র সরকারের এই আবেদনে রাজনৈতিক দলের নেতারাও সাড়া দেন।
নয়ডার কৈলাস হাসপাতাল, যেটা ১০ টি হাসপাতালের একটি গোষ্ঠী সেখানে প্রাক্তন বিজেপির (Bharatiya Janata Party) বিধায়ক এবং সাংসদ তথা হাসপাতালের প্রধান ডঃ মহেশ শর্মা (Dr Mahesh Sharma) নিজের কাজে ফিরে এসেছেন। উনি ডাক্তারি নির্বাচনের খাতিরে ছেড়ে দিয়েছিলেন। উনি ইংরেজি সংবাদমাধ্যম ‘দ্য হিন্দু”তে কথা বলার সময় জানান, আমি নিজের ঘরে সুরক্ষিত বসে ডাক্তারদের করোনার চিকিৎসা করতে বলতে পারিনা। আর এই কারণে আমি নিজেই পথে নেমে আবারও ডাক্তারি করার নির্ণয় নিয়েছি।
উনি বলেন, আমরা কিছু এমন পরীক্ষার নিয়ম বানিয়েছি, যাতে জানে যাবে যে, কোন ডাক্তার অথবা স্বাস্থকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কিনা। আমি এখনো বলতে পারছি না যে, এটা সম্পূর্ণ ভাবে সঠিক হবে, কিন্তু আমার প্রাথমিকতা হল স্বাস্থকর্মীরা যেন সম্পূর্ণ সাবধানতার সাথে মানুষের চিকিৎসা করতে পারে।
আরেকদিকে, মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের কাউন্সিলর ডঃ জিশান হুসেইন যিনি ইন্টার্নাল মেডিসিনে এমডি আর নিজের প্রাইভেট নার্সিং হোম চালান, উনি মহারাষ্ট্রের ওকোলা জেলা প্রশাসনের কাছে জানিয়েছেন যে, করোনার সাথে জড়িত পরিষেবার জন্য উনি উপলব্ধ আছেন। উনি এও বলেছেন যে, শুধু আমিই না, এরকম ৩০ শতাংশ ডাক্তার নিজেই এগিয়ে এসে আবারও ডিউটিতে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।