বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাস (COVID-19) সমগ্র বিশ্বে তার তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে বেড়েই চলেছে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। বর্তমানে বিশ্বের সর্বশক্তিমান দেশ সুপার পাওয়ার আমেরিকাও (America) এই রোগের কবলে পড়ে প্রবল সংকটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। আমেরিকায় এই মুহুর্তে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষ এবং মৃতের সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠন (WHO) এর ডিরেক্টর জেনারেল ট্রেডোসের পদত্যাগের দাবী জানায়।
আমেরিকার দাবি WHO চীনের মারণ ভাইরাসের বিষয়ে সবকিছু জানা স্বত্বেও চীনের (Chaina) প্রশংসা করেছিল। চীন যখন জেনে শুনে চুপ করেছিল, তখন তাদেরকে WHO সমর্থন করেছিল। যার ফলে WHO-এর উপর দোষারোপ আরও জোরদার করে উঠেছে। করোনা ভাইরাস প্রসঙ্গে চীনের কমিউনিস্ট সরকারের WHO উপর ভরসা করে থাকায় আমেরিকার রাজনৈতিক নেতারা এখন WHO এর বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলছে। আবার পশ্চিমের দেশগুলো দাবী করছে করোনা ভাইরাসের ফলে মৃতের সংখ্যা এবং আক্রান্তের সংখ্যার সঠিক হিসাব চীন দিচ্ছে না।
আমেরিকার রিপাবলিকান সেনেটর মার্থা ম্যাস্কসেলির মতানুসারে, নেতৃবৃন্দ WHO এর ডিরেক্টর জেনারেল ট্রেডোসের এখন পদত্যাগ করা উচিত। চীনের করোনা ভাইরাসের বিষয়ে সবকিছু জেনেও চুপ করে থাকার জন্য চীনের মতই সমান দোষী WHO। শুধু তাই নয় ট্রেডোস চীনের করোনা ভাইরাসের রেসপন্সের বিষয়ে চীনের ট্রান্সপেরিন্সিরও প্রশংসা করেছিলেন। এই প্রসঙ্গে ম্যাস্কসেলি বলেন, তিনি কোন দিন কোন কমিউনিস্ট সরকারের উপর ভরসা করেননি। চীনের সরকার নিজের দেশের তৈরি হওয়া করোনা ভাইরাসের বিষয়ে সকলের থেকে লুকিয়ে যাওয়ার ফলে এই ভাইরাসের কারণে আমেরিকা এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। এই কারণেই ট্রেডোসের পদত্যাগ করা উচিত।
ফেব্রুয়ারীতে চীনে করোনা ভাইরাসের কারণে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়িয়েছিল এবং মৃতের সংখ্যা ছিল ৩৬১। সেই সময়েও WHO এর ডিরেক্টর জেনারেল ট্রেডোস বৈদেশিক যাতায়াতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করতে চাননি। তারা জানিয়েছিল, এই রোগ মানুষের থেকে মানুষে ছড়াচ্ছে না। তাই নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজন নেই।
আবার অপরদিকে চীনের আক্রান্তের এবং মৃতের সংখ্যার সঠিক হিসাব সম্পর্কেও খতিয়ে দেখেনি WHO। অপরদিকে ভারত কিন্তু এই মারণ ভাইরাসের আশঙ্কা আন্দাজ করে নাগরিকদের সুরক্ষার বিষয়ে নজর দিয়েছিল। WHO এর সম্মতই পাবার আগেই ভারত করোনা ভাইরাসের সুরক্ষা নিয়ে ভাবতে শুরু করে দিয়েছিল।