বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মারণরোগ করোনা ভাইরাস (COVID-19) ২০২০ সালের জানুয়ারী মাস থেকেই চীনে (Chaina) বিস্তার ঘটাতে থাকে। ফেব্রুয়ারীর মধ্যেই হাজার হাজার মানুষ এই রোগের কবলে পড়তে শুরু করে। এবং মার্চ মাসের শেষের দিক থেকেই করোনা ভাইরাস চীন থেকে বিদায় নিতে শুরু করে। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছিল চীন থেকে করোনা ভাইরাস সম্পূর্ণ রূপে বিদায় নিয়েছে কিন্তু সুনামির আফটার সকের মতো এই রোগ আবার চীনে ফিরে এসেছে।
এই বিষয় থেকেই পরিস্কার হয়ে যায় যে এই ভাইরাস থেকে এতো সহজে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে না। মহামারি বিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফ্লাকল বলেছেন, ‘এটা তো সবে করোনা ভাইরাসের প্রথম ধাপ। এই রোগের আরও অনেক ধাপ বাকি আছে। একদিকে সমগ্র বিশ্বে এই রোগের প্রথম ধাপ বিস্তার লাভ করে, চীনে এবার দ্বিতীয় ধাপের দিকে এগোচ্ছে।
বর্তমানে চীনে ১৫৪১ জনকে নতুন করে ডাক্তারদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। থেমে যাওয়ার পর চীনে আবার নতুন করে মৃতের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরও একজনের থেকে অন্যজন সংক্রমিত হচ্ছে। চীন ছাড়াও এই বিষয়টি হংকং, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ানেও দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ করোনা ভাইরাস আবার নতুন করে শুধু চীন নয়, তাঁর পার্শ্ববর্তী দেশেও ছড়িয়ে পড়ছে। যা ধীরে ধীরে সমগ্র বিশ্বেও ছড়াতে পারে। সুস্থ হওয়ার পরও বিভিন্ন দেশের মানুষেরা এই রোগের কবলে আবারও পড়ছেন।
এই নতুন করে আবারও করোনা আক্রান্তের বিষয়টাকে অ্যাসেমটোমেটিক কেস বলা হয়। যারা কাছের মানুষদের মধ্যে আবারও এই রোগ ছড়াতে সক্ষম হচ্ছে। চীনের মতই এখন দেশে আবারও করোনা ভাইরাস ফিরে আসছে, তারা হটকারিতা করে লকডাউন ব্যবস্থা তুলে নিয়েছিল। সেই কারণেই এই ঘটনা আবারও ঘটছে। তাই বলা হচ্ছে লকডাউন ব্যবস্থা না তুলে নিয়ে,আগে ভালো করে এই ভাইরাসের নিঃশেষ করতে হবে। নাহলে এই মারোণরোগ আবারও ফিরে আসবে।
মহামারি বিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফ্লাকলের মতানুসারে, ‘এই ভাইরাস একটি পর্যায়ে শেষ হতে পারে। তবে সেটি কোয়ারেন্টিন এবং আবহাওয়ার উপর নির্ভর করবে। করোনার আক্রান্তের সংখ্যা না বাড়লেই যে এই রোগ শেষ হয়ে গেছে, সেটা কিন্তু নয়। আবারও ফিরে আসতে পারে এই রোগ। সামান্য বেলাগাম হলেই এই ভাইরাস আবারও ফিরে আসতে পারে। তাই মানুষকে সচেতন হতে হবে এই রোগের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করার জন্য’।