বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের (COVID-19) জেরে বিশ্ব এখন আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে। বিভিন্ন দেশে জারী রয়েছে লকডাউন অবস্থা। কিন্তু তাঁর মধ্যেও করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায়, কিছু কিছু জায়গা আবার সরকারী পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ সিল করে দেওয়া হয়েছে। জরকদমে চলছে করোনা থেকে নিষ্কৃতি পাবার লড়াই। এরই মধ্যে করোনা ভাইরাসের ফলে বিভিন্ন দেশ পরিণত হয়েছে মৃত্যুপুরীতে। যার মধ্যে পড়ছে ইতালি (Italy), স্পেন, ফ্রান্স এবং আমেরিকা।
মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে দুটি বৃহত দেশ অর্থাৎ ফ্রান্স এবং ব্রিটেনকে (UK) একেবারে ধরাশায়ী করে তুলেছে। ফ্রান্সে লাগাতার মৃত্যুর পর এবার ব্রিটেনে মৃতের সংখ্যা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইউরীপীয় দেশগুলোর মধ্যে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ইতালি এবং স্পেন। মৃতের সংখ্যার দিক থেকে শীর্ষস্থানে রয়ছে এই দুই জায়গা। ইতালি এবং স্পেনের পর সবথেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে ফ্রান্সে। এবং তারপরই চার নম্বরে রয়েছে ব্রিটেন।
ফ্রান্সে মৃতের সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার। এবং ১ লক্ষ ১২ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মারণ রোগ করোনা ভাইরাসের কারণে ফ্রান্সের শহর থেকে গ্রামে গ্রামে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে। কোটি কোটি মানুষ গৃহবন্দি হয়ে রয়েছে। ফ্রান্সে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার দরুণ লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার লকডাউনের সময়সীমা বাড়াল ফ্রান্স। ১৫ ই এপ্রিলের পরও জারী থাকবে লকডাউন অবস্থা।
ইউরোপের অপর একটি দেশ ব্রিটেনেও করোনা ভাইরাস তাঁর তাণ্ডবলীলা চালিয়ে যাচ্ছে। ক্রমাগত মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা ৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে এবং সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ৬০ হাজারেরও বেশি। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নিজেই এখন করোনায় আক্রান্ত হয়ে ICU তে ভর্তি রয়েছেন। বর্তমানে তাঁর অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল। গৃহবন্দি করা হয়েছে এই সময় সমস্ত মানুষকে। মানুষের নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে স্তদ্ধ রয়েছে গোটা লণ্ডন শহর।