বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাস (COVID-19) সমগ্র বিশ্বকে নিজের জালে জড়িয়ে নিলেও, এখনও অবধি বিশেষজ্ঞরা এই রোগের কোন প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে পারেনি। সেই কারনে বিভিন্ন দেশ বিভিন্নরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সঠিক কোন চিকিৎসা পদ্ধতি না পাওয়ায়, বিভিন্ন রকম চেষ্টা চালিয়েই যাচ্ছে চিকিৎসকরা। তাঁর মধ্যে অন্যতম হল প্লাজমা থেরাপি (Plasma Therapy)।
এই প্লাজমা থেরাপির বিষয়ে চণ্ডীগড়ের এক বিখ্যাত ডাক্তার ডাঃ জগত্রাম বললেন, ‘এই মারণ ভাইরাসের সঠিক কোন চিকিৎসা নেই। তার উপর এই রোগের প্রতিষেধক এখনও তৈরি হয়নি। চেষ্টা চলছে প্রতিষেধক তৈরির। সেই কারণে অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হচ্ছে। আবার বর্তমানে প্লাজমা থেরাপিও করা হচ্ছে। তাই আমরাও এই প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগের কথা ভাবছি। আমেরিকা থেকে বলা হচ্ছে ম্যালেরিয়া রোগের ঔষধ হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন দিয়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষকে কিছুটা হলেও সুস্থ রাখা যাচ্ছে। তবে এই ওষুধ চিকিৎসক কর্মীদেরকেও দেওয়া হয়’।
হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন ওষুধ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে এই ওষুধ খুবই কার্যকরী হচ্ছে। রোগী সাময়িকভাবে কিছুটা সুস্থ বোধ করে। তবে এই ওষুধ রোগীর এবং চিকিৎসকদের সম্মতি ব্যতীত দেওয়া হচ্ছে না। তবে বলব, এই ওষুধ কোন সাধারণ মানুষের সরাসরি খাওয়া উচিত নয়। যদি কোন ব্যক্তিকে কোন ডাক্তার এই ওষুধ খাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন, তবেই এই ওষুধ খাওয়া উচিত। ডাক্তারদের পরামর্শ ব্যতীত খাওয়া ঠিক নয়। কারণ এই ওষুধের অনেক রকম সাইড এফেক্টও থাকে’।
বর্তমানে বিশ্বের অন্যান্য সংক্রমিত দেশের তুলনায় ভারতের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি জানান, ‘আমাদের কাছে এটা খুশির খবর ভারতে এখনও অবধি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কম। ভারতের চণ্ডীগড়ে গত ৫-৬ দিনের মধ্যে এখনও অবধি কোন করোনা পজেটিভ ব্যাক্তির খবর পাওয়া যায়নি। যার ফলে এই অঞ্চলে করোনা সংক্রমণের হার বর্তমানে অনেক কম। তবে অন্যদিকে পাঞ্জাব, হরিয়ানায় এখনও করোনা পজেটিভ ব্যক্তির সংখ্যা পাওয়া যাচ্ছে। কারণ সেখানে একজন সংক্রমিত মানুষ অনেক মানুষের সংস্পর্শে আসায় মানুষ জন বেশি আক্রন্ত হচ্ছে। যেমন- তাবলীগী জমায়েতের কিছু মানুষের কারণে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে’।