বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চীন থেকে আগত করোনাভাইরাস (corona virus) যা বিশ্বকে তোলপাড় করে দিয়েছে। এই মারণ ভাইরাসের জেরে মৃত্যু হয়েছে অনেক মানুষের। আবার আক্রান্তও হয়েছে অনেকে। দেশে চলছে সরকার ঘোষিত লকডাউন(lockdown)। যার জেরে মানুষ খুব দরকার ছাড়া বাড়িতে থেকে বেরোতে পারছে না। বাড়িতে বসে অফিসের কাজ করতে হচ্ছে। চাকুরীজীবীদের জন্য বড় খবর ৷ করোনাভাইরাস লকডাউনের কারণে এবার কাজের সময়ে আসতে চলেছে বড়সড় বদল ৷ দৈনিক কাজের সময় ৮ ঘণ্টা থেকে বাড়িয়ে ১২ ঘণ্টা করার কথা ভাবছে সরকার ৷ অর্থাৎ আরও বেশিক্ষণ অফিসে থাকার জন্য এবার কর্মীদের হতে হবে প্রস্তুত ৷
লকডাউনের দ্বিতীয় পর্যায় থেকেই লাগু চলেছে ১২ ঘণ্টার কাজের শিফট বলে খবর ৷ করোনা ভাইরাস ঠেকাতে এই দীর্ঘ লকডাউনের কারণে বহুদিন ধরে কাজ বন্ধ ৷ কিন্তু চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সেই মতো যোগানের চ্যালেঞ্জকে পূর্ণ করতে দরকার অতিরিক্ত শ্রম ৷ সেই দিকেই নজর রেখে কাজের সময়ে বদল আনার ভাবনা কেন্দ্রের ৷ এর জন্য ১৯৪৮-এর দৈনিক শ্রমের জন্য তৈরি আইনে করতে হবে পরিবর্তন ৷ শীঘ্রই এব্যাপারে পাশ হতে চলেছে অর্ডিন্যান্স ৷ ১৯৪৮ এর ধারা ৫১ অনুযায়ী সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টার বেশি কোনও অবস্থাতেই কর্মীদের কাজ করানো যাবে না ৷
সম্প্রতি সর্বভারতীয় দৈনিক ইকোনমিক টাইমস- (Economic Times) এর রিপোর্টে এই দৈনিক শ্রমের সময় পরিবর্তনের কথা বলা হয় ৷ ওই রিপোর্ট অনুযায়ী সরকারের আনা অর্ডিন্যান্সের ভিত্তিতে রাজ্য সরকারগুলি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মরত কর্মীদের কাজের সময় বাড়ানোর স্বাধীনতা দেবে ৷ ইঙ্গিত মতো আইনে বদল ঘটলে কোম্পানিগুলি কর্মীদের কাজের শিফট বাড়ানোর অধিকার পাবে ৷ বর্তমানে দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করতে হয় চাকুরীজীবীদের ৷ অর্থাৎ সপ্তাহে ৬ দিন আট ঘণ্টা করে মোট ৪৮ ঘণ্টা কাজ করতে হয় কর্মীদের ৷ এই প্রস্তাব অনুযায়ী ১২ ঘণ্টার শিফট হলে সপ্তাহে মোট ৭২ ঘণ্টা কাজ করতে হবে একজন কর্মীকে ৷