বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের (COVID-19) জেরে চীন ছেড়ে বিদেশি কোম্পানি ব্যবসা বাড়াচ্ছে ভারতে (India)। যার ফলে ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে চীন (China)। বহু বিদেশি কোম্পানি এবার পাত্তারি গোটাচ্ছে চীন থেকে। উহানের করোনা ভাইরাসের কারণে সমগ্র বিশ্ব এখন চীনের উপর ক্ষিপ্ত। সেই কারণেই আমেরিকা, জাপান সহ আরও অনেক দেশ চীন থেকে তাঁদের কোম্পানি এখন সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
লাভবান হতে পারে ভারত
চীন থেকে বিভিন্ন কোম্পানি তাঁদের ব্যবসা সরিয়ে নেওয়ায়, লাভবান হতে পারে ভারত। এই সব বিদেশি কোম্পানীদের ভারতে আমন্ত্রণ জানাবার জন্য দেশের বিভিন্ন রাজ্য সরকার নিজেদের মতো করে তৈরি হচ্ছে। তৃতীয় দফা লকডাউনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের মিলিত বৈঠকের পর থেকেই, বিভিন্ন রাজ্য সরকার নড়ে চড়ে বসেছে।
চীন ত্যাগ করা বিদেশি কোম্পানি দেশের মাটিতে আমন্ত্রণ জানাতে প্রস্তুত হচ্ছে ভারত
লকডাউনের আগের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, চীন থেকে যে সমস্ত কোম্পানি সরে আসবে, তাঁদের জন্য ভারতকে প্রস্তুত রাখতে হবে। সেই কারণে উত্তরপ্রদেশ সরকার অনেকটাই এগিয়ে গেছে। উত্তরপ্রদেশের MSME এবং রপ্তানি বিশরদ মন্ত্রী সিদ্ধার্থ নাথ সিং ইতিমধ্যেই আমেরিকার প্রায় ১০০ টি কোম্পানির সঙ্গে কথা বার্তা বলেছেন। এছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গেও বাক্যালাপ করে তাঁদের সেখানে কোম্পানি স্থাপনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
ভারতের বিভিন্ন রাজ্য এই কাজের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে
উত্তরপ্রদেশ ছাড়াও চীন থেকে বিভিন্ন কোম্পানিকে নিজের দেশে আনার জন্য গুজরাট এবং উত্তর-পূর্বের কিছু রাজ্য তৈরি হচ্ছে। যার ফলে সেইসব রাজ্যে ব্যবসা বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের অর্থনীতি ব্যবস্থাও ঘুরে দাঁড়াতে পারেব।
ভারত সরকার চীনের সেইসব কোম্পানিগুলোকে নিজের দেশে আনার জন্য উঠে পড়ে বসেছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ১ হাজার বিদেশি কোম্পানি ভারতে কোম্পানি খোলার চিন্তা ভাবনা করছে। করোনা ভাইরাসের কারণে সেইসব কোম্পানিগুলো চীন থেকে তাঁদের কোম্পানি দ্রুতই ফিরিয়ে আনতে চাইছে। সেই কারণে তারা ভারতের প্রধানদের সাথে কথা বার্তা বলেও শুরু করে দিয়েছে।
ভারতে শ্রমিক মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি
ভারতে শ্রমিক সংখ্যার পরিমাণ অনেক বেশি হওয়ায়, খুব সহজেই চীনকে টেক্কা দিতে পারবে। এই সংকটের মধ্যে ওইসব বিদেশি কোম্পানিগুলো চাইছে সেই কারণে চীন ছেড়ে ভারতে কোম্পানি খোলার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। যাতে করে ভবিষ্যতে কোন রকম মহামারি আসলেও তাঁদের কোনোরূপ সমস্যা না হয়। তবে ইতিমধ্যেই প্রায় ৩০০ বিদেশি কোম্পানি ভারতে তাঁদের ব্যবসা করার সবরকম ব্যবস্থা করে ফেলেছে।