বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বসিরহাটের (Basirhat) মেছোভেড়িতে মঙ্গলবার ভোরে দুষ্কৃতীরা কুপিয়ে খুন করল এক তরুণকে। অন্য একটি ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় এক যুবককে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বসিরহাট থানা এলাকার অনন্তপুর পশ্চিমপাড়ার (Anantapur Paschimpara) মেছো ভেড়িতে বছর উনিশের বাকিবিল্লাহ মণ্ডল মাছের ভেড়ির আলাঘরে ঘুমচ্ছিলেন। আজ মঙ্গলবার ভোররাতে কয়েক জন দুষ্কৃতী জাপটে ধরে তাঁর গলার নলি কেটে দিতে যায়। প্রাণে বাঁচতে বাকিবিল্লাহ চিৎকার করলে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত তরুণের বাড়ি হাসনাবাদ থানা এলাকায়। অনন্তপুরের মেছোভেড়িতে তিনি কাজ করতেন। তাঁর পরিবার চায় পুলিশ তদন্ত করে অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করুক।
এই ঘটনার ঘণ্টা দুয়েক আগে বসিরহাট পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের ফুলবাড়ি দাসপাড়ায় বাড়ির পিছনে ফাঁকা মাঠে মোবাইল ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলছিলেন বছর পঁয়ত্রিশের আব্দুর রশিদ মোল্লা। হঠাৎ কয়েক জন দুষ্কৃতী তাঁকে কোপাতে শুরু করে। তাঁর চিৎকারে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় মাঠের পড়ে থাকা অবস্থায় গ্রামবাসীরা তাঁকে উদ্ধার করে। প্রথমে তাঁকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় পাঠানো হয়। তাঁকে আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দু’ঘণ্টার ব্যবধানে একই ভাবে কোপানোর ঘটনায় চিন্তায় পড়েছে বসিরহাট জেলা পুলিশ। এই দুটি ঘটনার মধ্যে কোনও যোগসূত্র রয়েছে কিনা তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। ফুলবাড়ির দাশপাড়ার আব্দুর রশিদ মোল্লাকে (Abdur Rashid Mollah) কুপিয়ে খুনের চেষ্টায় এলাকার হজরত গাজি নামে এক দুষ্কৃতীর নাম উঠে এসেছে। আক্রান্ত যুবকের ভাই জলিল মোল্লার দাবি অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক হজরত গাজিকে। আক্রান্ত রশিদ এলাকায় ভাল ছেলে হিসাবে পরিচিত। তিনি বিভিন্ন সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করেছেন আক্রান্তের পরিবারের লোকজন। তবে প্রশ্ন উঠছে গভীর রাতে ফাঁকা মাঠে আক্রান্ত যুবক মোবাইল কেন আলাপচারিতায় মগ্ন ছিল। তাহলে পুরনো শত্রুতার জেরে খুনের চেষ্টা নাকি অন্য কোনও ঘটনা এর নেপথ্যে রয়েছে সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে বসিরহাট থানার পুলিশ।
বাকিবিল্লাহর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আব্দুর রসিদ আগে একাধিক বার জেল খেটেছে। এখন সে পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। এটি সংগঠিত অপরাধ কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।