লকডাউনের জেরে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে নারাজ BJP বিধায়ক

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ লকডাউনের (Lockdown) মধ্যে বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant workers) নানান মর্মান্তিক চিত্র ফুটে উঠেছে। কখনও শ্রমিকরা অর্থ সংকটে, খাদ্য সংকটে দিন কাটাচ্ছে, তো আবার কখন তারা যান চলাচলের অভাবে পায়ে হেটেই বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সংকটের সময়ে শ্রমিকরা তাঁদের পরিবারের সঙ্গেই থাকতে চায়।

859672 migrants a n970

পরিযায়ী শ্রমিকরা বেছে নিচ্ছেন পায়ে হাঁটার পথ
মুম্বই, কলকাতা এবং দিল্লির মতো মহানগরী থেকে বহু পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি পৌঁছানোর জন্য বেছে নিয়েছিল পায়ে হাঁটার পথ। বর্তমানে এই পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজ রাজ্যে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক ট্রেনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্য করতে নারাজ স্থানীয় নেতারা, অভিযোগ
উত্তর-পূর্ব রাজ্যে এখনও অনেক পরিযায়ী শ্রমিক কাজের জন্য ভিন রাজ্যে গিয়ে আটকা পড়ে আছেন। স্থানীয় নেতাদের কাছে তাদের পরিবারের লোকজন তাঁদের ফিরিয়ে আনার আবেদন নিয়ে গেলে,নেতাদের পক্ষ থেকে কোন আমল দেওয়াই হয় না বলে অভিযোগ উঠেছে। উল্টে পরিবারের লোকজনদের বিভিন্ন রকম কথা শোনাতেও বাদ রাখছেন না তারা। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের জাবালপুরে (Jabalpur) এরকমই একটা ঘটনা উঠে এসেছে।

জাবালপুরের নেতার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ
জাবালপুরের পানগরের বিজেপি বিধায়ক সুশীল ইন্দু তিওয়ারির (MLA Sushil Indu Tiwari) সম্প্রতিকালে স্যশাল মিডিয়ায় একটি অডিও ক্লিপিং-র বিষয়কে কেন্দ্র করে শোরগোল সৃষ্টি হয়। অডিওটিতে শোনা যায়, এক পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারের লোকজন আসাম থেকে তাঁদের ফিরিয়ে আনার জন্য সাহায্য প্রার্থনা করলে, তিনি তাঁদেরকে সাহায্যের বদলে ধমক দিচ্ছেন। এমনটা অভিযোগ উঠেছে।

b

আসামের কেউ আমাকে চেনেন না
বিধায়ক আরও বলেন, ‘আসামে আমাকে কেউ চেনে না’। ওই পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারকে তিনি এই ব্যাপারে কোন সাহায্যই করতে পারবেন না। এরপর আটকে থাকা শ্রমিকদের কিছু সাহায্যের কথা বললে, বিধায়ক তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে বলেও অভিযোগ ওঠে। তিনি বলেন, কেন তারা মধ্যপ্রদেশ ছেড়ে আসামে গেছিল কাজের জন্য?

উপরিউক্ত অভিযোগ ওঠার পর সাহায্য থেকে বিরত বিধায়ক জানান, সাংসদ রাকেশ সিং তাঁদের সাহায্য করতে পারবে। এবং তারা যেন তাঁর সাথে যোগাযোগ করে।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর