বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভারতের ব্যাংকগুলিকে পরিষেবা ও সুরক্ষায় রীতিমতো প্রতিযোগিতায় ফেলতে পারে পোস্ট অফিস ( india post)। সাধারণ মানুষের একটা বিরাট অংশ ডাকঘর থেকে লেনদেনকে অনেক বেশি সুরক্ষিত মনে করে। পোস্ট অফিসে প্রায় সমস্ত ব্যাংকিং সুবিধাই পাওয়া যায়। পাশাপাশি, পোস্ট অফিসে আপনি কেবল 20 টাকায় সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে যে কেউ। পোস্ট অফিসের চার্জ সাধারণত ব্যাংকের চার্জ এর তুলনায় অনেকটাই কম কম। আবার পোস্ট অফিসে বিনিয়োগ করে আপনি হয়ে যেতে পারেন কোটিপতিও।
পোস্ট অফিসে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে সঞ্চয় করে আপনার সামনে কোটিপতি হবার সুযোগ থাকছে। আপনি যদি প্রতি মাসে ১২,৫০০ হিসাবে বছরে ১.৫ লক্ষ টাকা ( সর্বোচ্চ বিনিয়োগ সীমা) পিপিএফ অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ করে থাকেন ৷ একই অনুপাতে টাকা জমালে ১৫ বছরে ৭.১ শতাংশ হারে সুদের সঙ্গে আসলের মোট অঙ্ক দাঁড়াবে ৪২.৬০ লক্ষ টাকা ৷ দু’বার করে পাঁচ বছরের মেয়াদ বৃদ্ধি করলে দশ বছরের জন্য মেয়াদ সম্প্রসারিত হয় ৷ সেক্ষেত্রে ২৫ বছরে মোট জমানো টাকার পরিমাণ হবে ১ কোটি ৷
প্রসঙ্গত, ভারত সরকার জানিয়েছে, প্রভিডেন্ট ফান্ডে আগামী তিন মাসের জন্য নিয়োগকর্তা এবং কর্মচারীর (প্রত্যেকে 12 শতাংশ) প্রদান করবে। তবে এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে ১০০ জন কর্মচারী এবং তাদের অন্তত ৯০ শতাংশ এর বেতন মাসিক ১৫ হাজার টাকার নীচে হতে হবে। সংস্থাগুলিকে অনুরোধ করা হয়েছে, এই সুযোগটি গ্রহণের জন্য দয়া করে সমস্ত কর্মচারীদের বেতন প্রদান এবং সময়মতো ইসিআর ফাইল করুন।
পাশাপাশি, সম্প্রতি প্রফিডেন্ট ফান্ড ভোগী প্রায় ৬ কোটি মানুষের জন্য অভিনব ঘোষনা কেন্দ্রের। মহামারির আর্থিক সংকট থেকে চাকরিজীবিদের রেহাই দিতেই এই পদক্ষেপ কেন্দ্রের।এখন জমানো ৭৫ শতাংশ টাকা কিংবা তিন মাসের বেসিক পে, যেটি কম হবে, সেই পরিমাণ টাকা তাঁরা ইপিএফ থেকে তুলতে পারবেন। শ্রমমন্ত্রকের তরফ থেকে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যামেন্ডমেন্ট স্কিম ২০২০ লাগু হয়েছে ২৮ মার্চ থেকে। এখন আবেদন করলেই প্রয়োজনে ইপিএফও থেকে টাকা তোলা যাবে।