বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যেও দিল্লীর (Delhi) ঝাঁদেওয়ালান মন্দিরের এক নিদর্শনে পুলিশ (Police) করল পুষ্প বৃষ্টি। খাবার বিতরণ করছে প্রায় ১৮ লক্ষ মানুষের মধ্যে। লকডাউনের জেরে নিঃস্ব, দরিদ্র মানুষদের পাশে দাঁড়ালেন এই মন্দির কর্তৃপক্ষ।
দুঃস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়াল মন্দির কর্তৃপক্ষ
করোনা ভাইরাসের জেরে জারী হওয়া লকডাউনের মধ্যে বেরোজগার হয়ে পড়েছেন সমাজের বিরাট অংশের মানুষ। খাদ্য সংকটে পড়েছিল সমাজের নিম্নশ্রেণীর মানুষজন। সেই সকল মানুষদের সংকট থেকে কিছুটা হলেও উদ্ধারের জন্য এগিয়ে এলেন দিল্লীর ঝাঁদেওয়ালান মন্দির কমিটি। এখনও অবধি এই দুর্দিনে প্রায় ১৮ লক্ষ মানুষকে অন্নের জোগান দিলেন।
ধন্যবাদ জানাল দিল্লী পুলিশ
মন্দির কর্তৃপক্ষের এই উৎসাহকে সম্মান জানাতে দিল্লী পুলিশের পক্ষ থেকে এক সম্মান জ্ঞাপনের আয়োজন করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে মন্দির কর্তৃপক্ষের সকল মানুষের উপরে পুষ্প বৃষ্টি করলেন পুলিশ বাহিনী। ধন্যবাদ জানালেন তাঁদের এই কাজকে।
লকডাউনের প্রথম থেকেই চলছে এই কাজ
মন্দির কমিটির সেক্রেটারি কুলভূষণ আহুজা জানালেন, ‘লকডাউনের প্রথম থেকেই আমাদের কর্মীরা ধারাবাহিকভাবে কাজ করে চলেছেন। প্রতিদিন প্রায় ৩৫-৪০ হাজার মানুষকে খাবার দেওয়া হয়। অনেক থানার পুলিশ কর্তারা আমাদের থেকে খাবার নিয়েও অনেক দুঃস্থ মানুষদেরকেও সাহায্য করেন’।
সম্মান জানাল কেন্দ্রীয় জেলার ডিসিপি
কেন্দ্রীয় জেলার ডিসিপি সঞ্জয় ভাটিয়া জানালেন, ‘আজ আমরা মন্দিরের সদস্যদের সম্মান জানালাম। করোনার মহামারির মধ্যেও এইসকল মানুষ দরিদ্র মানুষদের জন্য খাবার প্রস্তুর করে চলেছে। আজ আমরা এক শপথ নিচ্ছি, যে কোন পরিস্থিতিতে করোনাকে হারিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াব’। পাশাপাশি পুলিশের পেট্রোলং টিমও এই মন্দিরের চারপাশে পরিক্রম করল।
খাবার তৈরির ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা হয়
মন্দিরের ট্রাস্টি রবীন্দ্র গোয়েল জানালেন, ‘ঝাঁদেওয়ালান মন্দিরের রান্নাঘরে প্রতিদিন পরিষ্কার, পরিচ্ছন্নতার সাথে বিভিন্ন ধরণের খাবার তৈরি করা হয়। সকল সদস্যরা সর্বদা মুখোশ পরে থাকেন। তাঁদের স্বাস্থ্যের দিকেও নজর দেওয়া হয়’।