বাংলাহান্ট ডেস্কঃ জার্মানির জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, এবার লকডাউনের আওতায় পড়তে চলেছে সূর্যও। বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয় সোলার মিনিমাম। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, সূর্যের তাপমাত্রা নাকি আস্তে আস্তে কমতে শুরু করবে। যার ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা কমে গিয়ে, ক্রমশ হিমশীতল হয়ে পড়বে।
১৮১৬ সালে নাকি ছিল না কোনো গ্রীষ্মকাল, আবার সেই দিন ফিরে আসতে চলেছে এমনিটাই জানাচ্ছে বিজ্ঞানী মহল। এই অবস্থাকে বলা হয়, ‘সোলার মিনিমাম’। এর কুপ্রভাব পড়বে পৃথিবীতে। কসমিক রে সূর্য থেকে বের হওয়ার ফলে মহাকাশে প্রভাব পড়ার পাশাপাশি প্রভাব পড়বে পৃথিবীর আবহাওয়াতেও। মহাকাশচারীদের ক্ষতি হবে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ক্ষতি হবে, ভূমিকম্প হবে, বজ্রপাতের সংখ্যাও বেড়ে যাবে। তাপমাত্রা কমে ২ ডিগ্রির ও বেশী। প্রভাব পড়বে কৃষিতেও। গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলে তেমন ভাবে এর প্রভাব বোঝা না গেলেও শীতপ্রধান অঞ্চলে এই তাপমাত্রা কমে যাওয়া বেশ সমস্যায় ফেলবে।
সোলার মিনিমাম হল একটি সৌরচক্র, যা সাধারণ ভাবে ১১ বছর থাকে। এই সময়ে সানস্পট ও সানফ্লেয়ার অত্যন্ত কমে যায়, এমনকি মাঝে মাঝে বেশ কিছুদিনের জন্য গায়েবও হয়ে যায়। ১২ মাসের গড় সানস্পটের ক্রিয়াকলাপ পর্যবেক্ষণ করে সোলার মিনিমাম দিন হিসেব করা হয়। সুতরাং ঐ দিনটি মোটামুটি ৬ মাসে একদিন ধার্য্য হয়। এই সোলার মিনিমাম জলবায়ুর পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কযুক্ত।
২০২০ সাল শুরু হয়েছে করোনা মহামারি দিয়ে, ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাপী মৃত্যু মিছিলে সামিল কয়েক লাখ মানুষ। এরই মধ্যে এই তাপমাত্রা কমে যাওয়া বেশ ক্ষতি করবে মানবজাতির এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।