বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তর প্রদেশে (Uttar Pradesh) কংগ্রেস (Congress) দ্বারা বাসের সঞ্চালন লাগাতার রাজনীতি রাজি আছে। গত মঙ্গলবার আগ্রায় লকডাউন লঙ্ঘন করার অভিযোগে কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি অজয় কুমার লাল্লুকে (Ajay Kumar Lallu) গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর বুধবারই তিনি জামিন পেয়ে যান। ওনার জামিন পাওয়ার পর শ্রমিকদের জন্য পাঠানো বাসের তালিকায় গড়বর করার অভিযোগে লখনউ পুলিশ ওনাকে আবার গ্রেফতার করে। শুধু গ্রেফতার করেই খান্ত থাকেনি পুলিশ, ওনাকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানো হয়।
তাড়াহুড়োতে নেওয়া এউ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রায় ৫০ হাজার কংগ্রেস নেতা এবং কর্মীরা আজ ফেসবুক লাইভে এসে প্রদেশ সভাপতির গ্রেফতারির বিরোধিতা করেন। কংগ্রেসের বিধানমণ্ডল দলের নেতা আরাধনা মিশ্রা কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতির গ্রেফতারিকে অসাংবিধানিক পদক্ষেপ বলে আখ্যা দেন। এমনকি দলের কর্মীদের ওনার সাথে সাক্ষাৎ করতে না দেওয়ার জন্য যোগী সরকারের উপর তীব্র আক্রমণ করেন তিনি।
কংগ্রসের বিধানমণ্ডল দলের নেতা আরাধনা মিশ্রা বলেন, কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতিকে যেমন ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে আর জেলে পাঠানো হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক। কংগ্রেসের মহাসচিব প্রিয়াঙ্কা গান্ধী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে চিঠি লিখে কংগ্রেস দ্বারা শ্রমিকদের সাহায্যের জন্য ১ হাজার বাস চালানোর অনুমতি চেয়েছিলেন।
https://www.facebook.com/watch/?v=891304034669335
উনি বলেন, সরকারের তরফ থেকে অনুমতি পাওয়ার পর কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অজয় কুমার লাল্লু রাজস্থান বর্ডারে দাঁড়িয়ে থাকা বাস গুলোকে উত্তর প্রদেশের সরকারের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য আগ্রা গেছিলেন, কিন্তু সরকার যখন বাস গুলোকে নয়ডা গাজিয়াবাদ পাঠানোর থেকে আটকে দেয়, তখন সেটার বিরোধিতা করেন প্রদেশ সভাপতি অজয় কুমার লাল্লু।
উনি বলেন, এই বিরোধিতা করার জন্য রাজ্য সভাপতিকে লকডাউন লঙ্ঘন করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। উনি বলেন, উত্তর প্রদেশে আজকাল হত্যার মামলা বেড়ে গেছে, ২ মাসে প্রায় ১০০ এর বেশি হত্যা হয়েছে কিন্তু পুলিশ এখনো কোন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি। কিন্তু শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর জন্য বাসের বন্দোবস্ত করার অপরাধে রাজ্য সভাপতিকে গ্রেফতার করা হয়।