বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বৈশ্বিক মহামারী করনাভাইরাসের কারণে গোটা বিশ্বের মানুষকেই যখন ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, তখন পাকিস্তানে (Pakistan) মানুষের ঘর ভেঙে দিয়ে তাদের শেষ সম্বল টুকু কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। মহামারীর সময়েও পাকিস্তান ধর্মের নামে ঘৃণ্য রাজনীতি করা বন্ধ করেনি। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রান্তের বহাবলপুর এলাকায় সংখ্যালঘু হিন্দুদের বস্তিতে বুলডোজার চালিয়ে পাকিস্তান আবারও প্রমাণ করে দিল যে, তাদের দেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং সংখ্যালঘুদের অধিকারের কোন গুরুত্ব নেই।
সবথেকে বড় অবাক করা কথা হল ইমরান খানের (Imran Khan) ক্যাবিনেট মন্ত্রী তারিক বশিরর নেতৃত্বেই এই সংখ্যালঘু হিন্দুদের শেষ সম্বল টুকু কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এমনকি দেশে সূচনা আধিকারিক শহ্রুখ খোখারও এই অভিযানে শামিল আছেন। যখন এই গরীব মানুষের বাড়ির উপর দিয়ে বুলডোজার চলছিল আর পুরুষ, মহিলা এবং বাচ্চারা নিজের শেষ সম্বল টুকু হারিয়ে যাওয়ার ফলে কান্নায় ভেসে পরেছিল, সেটির থেকে দুঃখজনক ব্যাপার এই মহামারীর মধ্যে আর কিছু নেই।
সম্প্রতি এরকম ঘটনা পাঞ্জাব প্রান্তের খানেবল জেলাতেও হয়েছে, সেখানে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর আর গেরোস্থানকে ইমরান খানে পার্টি তেহরিক-এ-ইনসাফ এর নেতা তছনছ করে দেয়। মানবাধিকার লঙ্ঘন মামলায় পাকিস্তান আগাগোড়াই দোষী। সিন্ধ আর পাকিস্তানে অন্যান্য অংশে এরকম নানান ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে সংখ্যাগুরু মুসলিমরা জোর করে হিন্দি-খ্রিস্টানদের নাবালিকা মেয়েদের তুলে নিয়ে ধর্ম পরিবর্তন করিয়ে বিয়ে করেছে।
পাকিস্তান প্রাক্তন এবং বর্তমান সরকাররা সব সময় দেশের সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু সংখ্যালঘুদের উপর বারবার হামলা সরকারের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায়।
ইসলামাবাদে ধার্মিক সংখ্যালঘুদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়। হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, জোর করে ইসলাম কবুল করানোর ঘটনা পাকিস্তানে এখন রোজনামচা। পাকিস্তানে হিন্দু, শিখ, ইসাই, আহমেদিয়া মুসলিম এমনকি শিয়া মুসলিমরাও এই অত্যাচারের শিকার হয়ে চলেছে।