পশ্চিমবঙ্গ আসার পথে বাসে যমজ বাচ্চার জন্ম দিয়েছিলেন মহিলা, চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু হল দুই নবজাতের

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের (corona virus) মহামারী চলছে। তারপরে আবার লকডাউন (lockdown) চলছে। আর সেই লকডাউন ভিন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফিরতে অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। ক্ষুধার্ত পিপাসায় সর্বত্র শ্রমিকরা পালাতে বাধ্য হচ্ছে। এই বেদনা-এ-যাত্রা কখন শেষ হবে? কারও কাছেই এর উত্তর নেই। উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) বরিলি হাপুর থেকে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) যাচ্ছিল এক গর্ভবতী মহিলা। সেখানে বাসের মধ্যেই যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি। তবে চিকিৎসার অভাবে দুজনেই মারা যান।

lockdown 1

৪০ জন সহকর্মী বাসটি ফিরছিলেন

পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা মিঠুন মিয়া উত্তর প্রদেশের হাপুর জেলায় একটি ইট ভাটায় কাজ করেন। কিন্তু ভাটাটি দুই মাস ধরে লকডাউনের কারণে বন্ধ ছিল। যার কারণে খাদ্যের সঙ্কট দেখা দিয়েছিল। সুতরাং মিথুন এবং তার ৪০ সহকর্মীরা তাদের রাজ্যে যেতে অনলাইনে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু কোনও সরকারী সহায়তা পাওয়া যায়নি। এর পরে তারা একটি প্রাইভেট বাস বুক করেছিল ১.২৫ লক্ষ টাকায়। যার মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় সমস্ত শ্রমিক পশ্চিমবঙ্গে রওয়ানা হন।

sromik

ফাতেমা ছয় মাসের গর্ভবতী ছিলেন

মিথুন বলেছিলেন- তাঁর স্ত্রী ফাতেমা ছয় মাসের গর্ভবতী ছিলেন। তিনিও বাসে ছিলেন। বাসটি বেরিলি জেলার বিথ্রি এলাকায় জাতীয় হাইওয়েতে পৌঁছে ফাতেমা হঠাৎ করেই প্রসব ব্যাথা ওঠে। লোকেরা কিছু বুঝতে পারার আগেই ফাতেমা দুটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। যার মধ্যে একটি মৃতের জন্ম হয়েছিল। একটি অ্যাম্বুলেন্সের সাহায্যে ফাতেমা ও তার শিশুদের জেলা মহিলা হাসপাতালে আনা হয়। যেখানে দ্বিতীয় ব্যক্তিও মারা যান।

নমুনা সংগ্রহ করোনার পরীক্ষার জন্য

জেলা মহিলা হাসপাতালের জরুরী মেডিকেল অফিসার ডাঃ বর্ষা বলেছেন- মহিলাটি মারা গিয়েছেন। মৃত যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছিল। মহিলাটি করোনার পরীক্ষার জন্য নমুনা পেয়েছেন। রিপোর্ট আসার পরেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত খবর