বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বর্তমান আবহে করোনা সঙ্কটের জেরে গোটা বিশ্বে চিনকে (china) একঘরে করতে ক্রমাগত চিনের উপর চাপ বাড়াচ্ছে ভারতের (india) সাথেও কূটনৈতিক সম্পর্ক ভালো করতে চাইছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এদিকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সীমান্তে ক্রমেই উত্তেজনা বাড়ছে ভারতীয় সেনা ও চিন সেনার মধ্যে। এবার এই আবহেই ভারতে আটকে থাকা নাগরকিদের দেশে ফেরাতে চাইছে চিন।
ভারত-চিন সংঘাতের আবহেই নতুন সিদ্ধান্ত
ভারত-চিন সংঘাতের আবহেই নতুন সিদ্ধান্ত বেজিংয়ের এমতাবস্থায় ভারতও প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কের মজবুতির পথে এগোতে চাইছে। গত সপ্তাহেই মালয়েশিয়া ও শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্র নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার ভারত-চিন সংঘাতের আবহেই এল নতুন মোড়। আগামী সপ্তাহ থেকেই ভারতে আটকে থাকা চিনা নাগরিকদের দেশে ফেরাতে চাইছে বেজি।
দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা চিন সরকার
দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা চিন সরকারের ২রা জুন থেকেই ভারত-চিন উড়ান পরিষেবা শুরু হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, প্রথম দফায় দিল্লি, মুম্বই ও কলকাতা থেকে সাংহাই, চংক্যুইং, জিনান, গুয়াংঝৌ ও ঝেঙঝৌ-এর চিনের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে উড়ান। চিনা দূতাবাসের তরফে জানান হয়েছে, যারা ভারত থেকে দেশে ফিরতে চান তাদের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে নাম নথিভুক্ত করতে হবে।
চাপ বাড়ছে আন্তর্জাতিক মহলে
চাপ বাড়ছে আন্তর্জাতিক মহলে ভারতে চিনা লগ্নিগুলির উপর তদন্ত শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়ে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে চাপানউতোর চলছিলই। করোনা আবহে আন্তর্জাতিক মহলে ইতিমধ্যেই বেশ বিপাকে পড়েছে চিন। এরই মাঝে পূর্ব-লাদাখ সীমান্তে চিনা সেনা মোতায়েন নিয়ে চলছে দ্বন্দ্ব। এদিকে ৫ই মে এএলসি বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার খুব কাছে উড়তে দেখা যায় চিনের দু’টি চারকে। ওই দিন সন্ধ্যাতেই চিনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ভারতীয় সেনার। আহত হন দু’দেশেরই জওয়ানেরা। তারপর থেকেই ক্রমেই বাড়ছে উত্তেজনা। এরপর ১০ মে সিকিমে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়াতে দেখা যায় ভারত-চিন সেনাকে। দেখা দেয় যুদ্ধ পরিস্থিতি। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহলের মতে এই সংকটজনক পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক চাল হিসাবেই নিজ দেশের নাগরিকদের দেশে ফেরাতে চাইছে চিন।
সীমান্তে জারি লাল-সতর্কতা
সীমান্তে জারি লাল-সতর্কতা সীমান্তে চিনা সেনা মোতায়েন এবং লাদাখের একটা কিছু অংশে চিনের আগ্রাসন নিয়ে ইতিমধ্যে ভারতীয় সেনার তরফে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি ভারতীয় সেনা প্রধান জেনারেল এম এম নারাভানে নিজেও সীমান্তের বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন বলে জানা যাচ্ছে।