বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নরেন্দ্র মোদির (narendra modi) তৈরি করা ত্রান তহবিলে ২১ কোটি টাকা দান করার পরে ২ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করল ইন্ডিয়া বুলস ( india bulls)। এই অর্থনৈতিক টানা পোড়েনের সময় যখন চাকরি থাকাটাই দুস্কর তখন এই ভাবে বিনা নোটিসে কর্মীদের বরখাস্ত কতখানি উচিত তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
প্রায় ২৬ হাজার কর্মী কাজ করতেন ইন্ডিয়া বুলস হাউজিং ফিনান্সে। এঁদের মধ্যে অন্তত ২ হাজার কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। সংস্থার দাবি, প্রত্যেক আর্থিক বর্ষে পারফরমেন্স রিভিউ করে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কর্মীকে ছাঁটাই করার নিয়ম তাদের নতুন নয়। সেই নিয়মেই ছাঁটাই হয়েছে। তবে লকডাউন পরিস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত কতখানি মানবিক তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, পিএমও অফিস, শ্রম মন্ত্রককে উদ্ধৃত করে পদক্ষেপ গ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন কর্মীরা। তবে ২১ কোটি টাকা দান আর তারপর কর্মীদের বরখাস্ত করার মধ্যে কি আদেও কোনো যোগসূত্র আছে? নাকি পুরোটাই কাকতালীয়? প্রশ্ন কিন্তু থাকছেই।
এর আগের, অর্থনৈতিক সংকট ঠেকাতে ১৩ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই এবং বাকিদের ক্ষেত্রে আপাতত ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেতন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফুড ডেলিভারি সংস্থা Zomato! zomato এর কর্ণধার জানান, প্রায় ১৩ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থা। একই সাথে আগামী ছয় মাস সংস্থার কর্মীদের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেতন কমানোর সিদ্ধান্তও নিয়েছে zomato। তবে জানানো হয়েছে, বেতন কাঠামো অনুযায়ী বেতন কমানো হবে। পাশাপাশি যারা কর্মহীন হয়েছেন তারা কাজ খুঁজে নেওয়ার জন্য দুসপ্তাহ সময় পাবেন। এই দুসপ্তাহ তারা বাড়ি বসেই বেতন পাবে।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই মাত্র তিন মিনিটের জুম কলে কাজ হারিয়েছেন ১৪ শতাংশ উবের কর্মী৷ কাস্টমার সার্ভিস বিভাগের প্রায় ৩৫০০ কর্মীকে বরখাস্ত করে সংস্থা।এছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি বিভাগের ২০০ কর্মীকেও দেওয়া হয় এই দুঃসংবাদ।কিছুদিন আগেই এই সংস্থার খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ বিভাগ ‘উবের ইটস’ ঘোষণা করেছিল পাকাপাকিভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। এবার ক্রেতা সুরক্ষাতে কাজ হারালেন ৩৫০০ মানুষ। ২০২০-এর প্রথম তিনমাসে এই সংস্থা প্রায় ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।