বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আশঙ্কাই সত্যি হল। বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance) নিয়ে বৃহস্পতিবারও কোনো ঘোষণা হয় নি রাজ্য সরকার তরফে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে বকেয়া ডিএ-র একাংশ দেওয়ার কাজ শুরু করল না রাজ্য। যা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে কর্মচারীদের (Government Employees) একাংশের মধ্যে। এরই মধ্যে এবার নেওয়া হল বড় পদক্ষেপ। মুখ্যসচিব-অর্থসচিবকে দেওয়া হল আইনি নোটিস।
মামলার পথে সরকারি কর্মীরা | Dearness Allowance
আগেই কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বকেয়া ডিএ মেটানো না হলে, রাজ্যের অর্থসচিব এবং মুখ্যসচিবের নামে নোটিশ করা হবে। সেই নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকদিনের সময় দেওয়া হবে। তারপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হবে। সেই মতো সময়সীমা পেরোতেই এদিন মুখ্যসচিব-অর্থসচিবকে নোটিস ধরালো মূল মামলাকারী কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্মেন্ট এমপ্লয়িজ।
সূত্রের খবর, সময়সীমা শেষ হওয়ায় এদিন থেকেই সেই লক্ষ্যে কোমর বেঁধে ময়দানে নামল শুরু করেছে ডিএ মামলাকারী কর্মচারী সংগঠনগুলি। মূল মামলাকারীদের তরফে মলয় মুখোপাধ্যায় তাঁর আইনজীবী মারফত ইমেইল করে নোটিস পাঠিয়েছেন। আদালত অবমাননার যুক্তিতে দেওয়া হয়েছে নোটিশ।
যদিও রাজ্য প্রশাসনের একটি সূত্র বলছে, শুক্রবার পর্যন্ত ডিএ-র বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার সময় রয়েছে। তবে খাতায়-কলমে শুক্রবার ছুটি রয়েছে। ডিএ ইস্যুতে রাজ্য সরকারি কর্মচারী, সংগঠন গুলির পাশাপাশি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে শুরু চড়াতে শুরু করেছে বিরোধীরাও। বিজেপির রাজ্য দফতরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করে বলেন, “পে-কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা, রাজ্যের রিভিশন পিটিশন করতে যাওয়া- এগুলোর মধ্যে কি মনে হচ্ছে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টের রায় মানতে চাইছে?”
আরও পড়ুন: কিছুক্ষণেই শুরু হবে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি! দক্ষিণবঙ্গের কোথায় কোথায় দুর্যোগ? আবহাওয়ার লেটেস্ট খবর
রাজ্য সরকারি কর্মীদের পরামর্শ দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “রাত ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তবে উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) যদি ভাবেন, যে কায়দায় বাংলাটা চান, সে ভাবে সুপ্রিম কোর্টও চালাবেন, তা হলে ভুল করছেন উনি।” উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ’র ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ৬ সপ্তাহ সময় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (DA Case)। সরকারি কর্মীদের প্রশ্ন, তাহলে সরকার আদালত অবমাননার মামলাকে স্বাগত জানাচ্ছে? কারণ ফের আইনি প্রক্রিয়ায় আরও সময় বেরিয়ে যাবে। স্বাভাবিক ভাবেই ডিএ দেওয়ার কাজও পিছিয়ে যাবে।
