বাংলাহান্ট ডেস্ক : দক্ষিণ কলকাতার কসবায় ল কলেজে (Kasba Law College) গণধর্ষণের ঘটনায় রথযাত্রার দিনেই ছড়াল চাঞ্চল্য। আরজিকরের ঘটনার স্মৃতি উসকে দিয়ে দিয়ে এবার কলেজের মধ্যেই তরুণীকে নির্যাতনের অভিযোগ। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছে তিন অভিযুক্ত। এঁদের মধ্যেই আবার মূল অভিযুক্ত হিসেবে যাঁর নাম উঠে আসছে, সেই মনোজিৎ মিশ্র তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা।
পুলিশের কাছে অভিযোগ কসবা কাণ্ডের (Kasba Law College) নির্যাতিতার
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটে বুধবার রাতে। তারপরেই পুলিশে অভিযোগ জানান তরুণী। তাঁর অভিযোগ, ইউনিয়ন রুমের সংলগ্ন একটি ঘরেই নাকি তাঁকে জোর করে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করেন অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র। অন্য যে দুই ছাত্র গ্রেফতার হয়েছেন তারা নাকি ঘটনার দিন দরজার বাইরে পাহারায় ছিলেন রুমের বাইরে পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতা অভিযোগকারিনীর দাবি, কলেজের গার্লস বিভাগের জিএস করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।
তরুণীকে দেওয়া হয় কুপ্রস্তাব: কসবা কাণ্ডে (Kasba Law College) নির্যাতিতার দাবি, অভিযুক্ত মনোজিৎ তাঁকে বলেন, ‘তুমি কতটা অনুগত তার পরীক্ষা নেওয়া হবে আজ’। এরপর তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেন মনোজিৎ। কিন্তু প্রেমিক রয়েছে বলে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন নির্যাতিতা। অভিযোগ, তিনি প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতেই তাঁর উপরে চড়াও হন মনোজিৎ। বেরোতে বাধা দেওয়া হয় তাঁকে।
আরো পড়ুন : রথযাত্রায় জীবনে কীভাবে আসবে সুখ-সমৃদ্ধি? পুণ্য দিনের বিশেষ মাহাত্ম্য জানালেন মহন্ত স্বামী মহারাজ
দরজা বন্ধ করে চলে নির্যাতন: অভিযোগকারিনী পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁকে জোর করে কলেজের (Kasba Law College) বাথরুম সংলগ্ন একটি ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্য দুই অভিযুক্ত বাইরে থেকে বন্ধ করে দেন দরজা। তারপরেই ঘরের ভেতরে তাঁর উপরে চড়াও হন মনোজিৎ। কসবা কাণ্ডের (Kasba Law College) অভিযোগকারিনী জানিয়েছেন, তাঁর চিৎকার শুনে ছুটে এসেছিলেন কলেজের নিরাপত্তারক্ষী। কিন্তু তাঁকেও মারধোর খেতে হয় মনোজিতের দলবলের কাছে।
আরো পড়ুন : কসবায় ল কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত TMCP নেতা! কঠোরতম শাস্তি দাবি শুভেন্দুর, তৃণমূলকে তুলোধনা মালব্যর
আরো একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন কসবা কাণ্ডের নির্যাতিতা। পুলিশের কাছে তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার সময় ভিডিও তুলে রাখা হয়। কাউকে কিছু জানালে ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়া হবে বলেও নাকি হুমকি দেওয়া হয়। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে রাত দশটার মধ্যে ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতা। তারপরে কসবা থানায় তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ধৃত তিনজনেরই মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।