বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ইউটিউব (youtube) না টিকটক(tiktok)? এই তর্ক নিয়ে বহুদিন সরগরম ছিল সামাজিক মাধ্যমগুলি। দুই ধারার ভিডিও নির্মাতাদের দ্বৈরথে রাতারাতি গুগল (Google) প্লেস্টোরে টিকটকের রেটিং তলানিতে ঠেকে। তিন দফায় মোট ১ কোটি রিভিউ ডিলিট করে আবার টিকটককে উপরের সারিতে নিয়ে এল গুগল।
গুগলের এক মুখপাত্র বলেছেন যে সংস্থা স্প্যামের অপব্যবহারের ঘটনা বিবেচনা করলে অবৈধ রেটিং এবং মন্তব্যগুলি সরিয়ে নিতে সংশোধনমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। “প্লে স্টোর রেটিং ব্যবহারকারীদের অ্যাপ্লিকেশন এবং বিষয়বস্তুর সাথে তাদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় প্রতিক্রিয়া প্রদান করতে সক্ষম করে তোলে, যাতে অন্যরা সেই তথ্য থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারে” জানিয়েছেন ঐ আধিকারিক।
টিকটক ও ইউটিউব কে সেরা ? সেই নিয়ে নেটপাড়ায় জোর লড়াই অনেকদিনই। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নয় বরাবরই। এমনকি ইউটিউবের একচেটিয়া ব্যবসাতেও বেশ কিছুটা ভাগ বসিয়েছিল টিকটক। কিন্তু ভারতের জনপ্রিয় ইউটিউবার ক্যারিমিনাতি ও আমির সিদ্দিকির লড়াই এর কারনে, বহু নেটিজেন 1 স্টার রেটিং দিয়ে ভারতে অ্যাপটিতে নিষেধাজ্ঞার দাবি তুলেছে। টুইটারে #bantiktok হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ডিং করছে।
যার ফলশ্রুতি হিসাবে, ভারতের( india) আইআইটি রুরকি শিক্ষার্থীর তৈরি ‘Mitron’ অ্যাপটি মোবাইল প্ল্যাটফর্মগুলিতে অসাধারণ সাফল্য পেয়েছে এবং তরুণ ভারতীয়দের মধ্যে এটি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বর্তমানে এটি ভারতের দ্বিতীয় স্থানে থাকা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ।এই শর্ট ভিডিও প্ল্যাটফর্মটির গুগল প্লে স্টোরে একটি 4.7 স্টার রেটিং রয়েছে। অ্যাপটি আইআইটি রুরকির একজন শিক্ষার্থী তৈরি করেছেন যা চীনের টিকটকের মতোই কাজ করে। টিকটকের পড়তি বাজার ধরতে ইতিমধ্যেই সফল হয়েছে ‘মিত্র’।
এর আগে, টিকটকের রেটিং বাড়াতে ৫ মিলিয়ন রিভিউ ডিলিট করেছিল গুগল। যার জেরে ১.২ থেকে ১.৬ এ উঠে এসেছে টিকটকের রেটিং। এবার আরো রিভিউ ডিলিট করে টিকটকের রেটিংকে ৪.৪ স্টারে পৌঁছে দিল গুগল।