বাংলাহান্ট ডেস্ক : পহেলগাঁও হামলার পরেই সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করেছিল ভারত (India-Pakistan)। আর তাতেই ত্রাহি ত্রাহি রব উঠে গিয়েছে পাকিস্তানে। মূল জলের উৎসটাই বন্ধ হয়ে যাওয়াতে অকূল পাথারে পড়েছে পাকিস্তান। ভারতে অনুরোধ, হুমকি দিয়েও লাভ না হওয়ায় এবার নতুন নতুন পন্থা নিয়ে আসছে প্রতিবেশী দেশ। তবে পাকিস্তানকে (India-Pakistan) এবার বড়সড় ঝটকা দিয়ে পরিকল্পনা বানচাল করল ভারত।
সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে পাকিস্তানকে (India-Pakistan) ঝটকা ভারতের
জম্মু কাশ্মীরের কিষানগঙ্গা এবং রাতলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে আপত্তি তুলেছিল পাকিস্তান। সেই প্রেক্ষিতে রায় দেয় হেগের সালিশি আদালত। সেই রায়কে এবার সরাসরি ‘অবৈধ’ বলে ঘোষণা করল ভারতের (India-Pakistan) বিদেশ মন্ত্রক। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট জানানোর হয়েছে, হেগের সালিশি আদালত নিজেই সিন্ধু জল চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। তাই এই ধরণের ফোরামের কোনো রায়ই ভারতের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
কী বলল বিদেশ মন্ত্রক: শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রক বলে, ‘পাকিস্তানের নির্দেশে নতুন করে একটি আন্তর্জাতিক নাটকের চিত্রনাট্য সাজানো হয়েছে। ভারতের অবস্থান এক্ষেত্রে স্পষ্ট। ভারত (India-Pakistan) বলেছে, সীমান্ত সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের দায়িত্ব এড়াতেই এই প্রচেষ্টা। সেই সঙ্গে বিদেশ মন্ত্রক এও স্পষ্ট করেছে, ভারত এই তথাকথিত সালিশি আদালতকে কখনোই মান্যতা দেয়নি।
আরো পড়ুন : স্পষ্ট যৌনাঙ্গে ক্ষত, গলায় কামড়ের দাগ! কসবা কাণ্ডে নির্যাতিতার হাড়হিম করা মেডিক্যাল রিপোর্ট সামনে এল
কী রায় দেয় আদালত: উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সিদ্ধু চুক্তির অধীনে গঠিত সালিশি আদালত জানিয়েছে, ভারতের সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত তাদের এক্তিয়ারে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। জম্মু কাশ্মীরের কিষানগঙ্গা এবং রাতলে প্রকল্প সংক্রান্ত মামলার শুনানি তারা চালিয়ে যাবে বলেও জানায় ওই সালিশি আদালত। আরো বলা হয়, রায়টি ‘সব পক্ষের জন্য বাধ্যতামূলক’। এর প্রেক্ষিতেই ভারতের (India-Pakistan) বিদেশ মন্ত্রক স্পষ্ট করে, এই তথাকথিত সালিশি আদালতকে কখনোই স্বীকৃতি দেয়নি তারা। উপরন্তু ভারতের সার্বভৌমত্বের পরিপন্থীতে যেকোনো পদক্ষেপই ‘অবৈধ’ বলে গণ্য হবে।
আরো পড়ুন : পেট্রোলের জন্য আর অন্য দেশের মুখাপেক্ষী নয়, এবার চাল দিয়েই গাড়ি ছোটাবে ভারত!
প্রসঙ্গত, জম্মু কাশ্মীরে রাতলে এবং কিষানগঙ্গা প্রকল্প নিয়ে আপত্তি পাকিস্তানের। ২০১৬ সালে সালিশি আদালতের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য দাবি জানিয়েছিল পাকিস্তান। তখন থেকেই শুরু এ বিষয়ে বিরোধের। ভারত তখনই এই উদ্যোগের বিরোধিতা করেছিল। ভারতের দাবি, এই কৃত্রিম ফোরামের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদে মদত যোগানোর বিষয়টি থেকে বিশ্বের নজর ঘোরাতে চাইছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক মহলে এ বিষয়ে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে ভারত।
