বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ-র (Dearness Allowance) ২৫% মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ২৭ জুনের মধ্যে রাজ্যকে সেই বকেয়া মিটিয়ে দিতে হতো। তবে সেদিনই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় সরকার (Government of West Bengal)। আরও অন্তত ৬ মাস সময় চাওয়া হয়। সেই সঙ্গেই কোন সময়ের বকেয়া মহার্ঘ ভাতাকে রাজ্য মান্যতা দিচ্ছে সেটাও হলফনামায় স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance) নিয়ে টানাপড়েন চলছে
জানা যাচ্ছে, বকেয়া ডিএ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকায় সংশোধন চেয়ে রাজ্য যে আবেদন করেছে, সেখানে তাদের যুক্তি, মহার্ঘ ভাতা বাধ্যতামূলক নয়। এই বিষয়টি পুরোপুরিভাবে রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থার উপর নির্ভরশীল।
এখানেই শেষ নয়, রাজ্যের বক্তব্য, এআইসিপিআই সূচকের ভিত্তিতে ডিএ (DA) দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হলে সেটা নিয়োগকর্তার বিবেচনা ক্ষমতাকে খর্ব করবে। বেতন কমিশনের সুপারিশ বাধ্যতামূলক নয় বলেও দাবি করেছে সরকার।
আরও পড়ুনঃ হুমকি, মারধর থেকে অপহরণ! RG Kar-এ ‘রাত দখলে’ যাওয়ায় মনোজিৎ যা করেছিলেন… ফাঁস সব কীর্তি
এছাড়া কোন সময়ের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (DA Arrear) দিতে রাজ্য তৈরি সেটাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১ এপ্রিল, ২০০৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ অবধি সময়কালের বকেয়া ডিএ-কে মান্যতা দিচ্ছে সরকার। সুপ্রিম কোর্টে এমনটাই জানানো হয়েছে।
রাজ্যের দাবি, একদিকে বিপুল সংখ্যক সরকারি কর্মচারী, অন্যদিকে দীর্ঘদিনের বকেয়া- এর ফলে এখনই বকেয়া মেটাতে গেলে রাজ্যের উপর বিপুল আর্থিক চাপ সৃষ্টি হবে। সেই জন্য আরও অন্তত ৬ মাস সময় চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মে মাসে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতার (Dearness Allowance) ২৫% মেটানোর নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। নির্দিষ্ট সময়সীমাও বেঁধে দেয় আদালত। সেই ‘ডেডলাইন’ অতিক্রম হওয়ার আগেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য। সুপ্রিম কোর্ট এবার কী নির্দেশ দেয় সেটাই দেখার।