বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বকেয়া ডিএ (DA) নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত। সুপ্রিম কোর্টের ডেডলাইন মেনে বকেয়া ডিএ অর্থাৎ মহার্ঘ ভাতার (Dearness Allowance) অংশ মেটায় নি রাজ্য সরকার। অতিরিক্ত ৬ মাস সময় চেয়ে ফের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে সরকার। সুপ্রিম নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানো হয়েছে। ডিএ মামলার রায়ের মডিফিকেশন এর আবেদন করেছে রাজ্য। যা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা।
বকেয়া ডিএ ইস্যুতে জট অব্যাহত | Dearness Allowance
সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের দায়ের করা মডিফিকেশন আবেদন নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে। রাজ্যের এই আবেদন কতটা শক্তিশালী সেই নিয়েও চর্চা চলছে। বিশেষজ্ঞদের মতে রাজ্যের মডিফিকেশন আবেদনের ভিত্তি অত্যন্ত দুর্বল। প্রথমত রাজ্য ডিএ প্রদানের নিয়মাবলী তৈরির জন্য আরও সময়ের আবেদন করেছে ঠিকই কিন্তু, ২০১৭ সালে স্যাট (SAT) এই নিয়ম তৈরির জন্যই সরকারকে তিন মাস সময় দিয়েছিল।
এতদিন পর রাজ্য সম্প্রতি ফের একই কারণ দেখিয়ে সময় চাওয়ায় প্রশ্ন উঠছে। দ্বিতীয়ত আদালত অবমাননার প্রসঙ্গ। ১৬ মে সুপ্রিম কোর্ট, রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ’র ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ৬ সপ্তাহ সময় দিয়েছিল। সেই হিসেব মত ২৭ জুন সেই সময়সীমা শেষ হয়েছে। তবে এই সময়ের মধ্যে রাজ্য সুপ্রিম নির্দেশ না মানায় তা আদালত অবমাননার সামিল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আবার সুপ্রিম কোর্ট ১৬ মে শুনানিতে জানিয়েছিল উভয় পক্ষকে তাদের সমস্ত বক্তব্য লিখিতভাবে জমা দিতে হবে চার সপ্তাহ অর্থাৎ ১২ই জুনের মধ্যে। রাজ্য সরকার তাদের আর্থিক সমস্যার কথা এই সময়ের মধ্যে লিখিতভাবে আদালতকে কেন জানায়নি তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
আরও পড়ুন: সোমে ভারী বৃষ্টিতে ভাসবে দক্ষিণবঙ্গের এই ৬ জেলা, কোথায় কোথায় সতর্কতা? আবহাওয়ার খবর
রাজ্যের পুনর্বিবেচনার আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকারি কর্মীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম শুক্রবার বলেন, “পুনর্বিবেচনার আর্জি জানালেই যে তা গৃহীত হবে এমন কোনও কথা নেই। সময়কাল পেরিয়ে যাওয়ায় আদালত অবমাননার মামলার নোটিস দেওয়া হয়েছে অর্থসচিব ও মুখ্যসচিবকে। ডিএ দিতেই হবে।” পরবর্তীতে ডিএ মামলার মোড় কোন দিকে নেয় সেই দিকে তাকিয়ে সকলে।