বাংলাহান্ট ডেস্ক : চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ এবং পরে জোর করে গর্ভপাত করানোর অভিযোগ উঠেছিল বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রম সঙঘের অন্যতম মুখ পদ্মশ্রী প্রাপ্ত কার্তিক মহারাজের (Kartik Maharaj) বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন এক মহিলা। বাংলায় হিন্দুত্বের অন্যতম মুখের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগে স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল বিভিন্ন মহলে। কিন্তু দুদিন যেতে না যেতেই আচমকা ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন অভিযোগকারিনী। ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে কার্তিক মহারাজকে (Kartik Maharaj), দাবি করলেন তিনি নিজেই।
ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন কার্তিক মহারাজ (Kartik Maharaj)?
রবিবার ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে বিষ্ফোরণ অভিযোগ করেন ধর্ষণের অভিযোগ আনা মহিলা। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন কার্তিক মহারাজ (Kartik Maharaj)। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই নাকি বদনাম রটানোর চেষ্টা হয়েছে বাংলার হিন্দু সমাজের আইকনের বিরুদ্ধে। এমনই বিষ্ফোরক দাবি করলেন স্বয়ং অভিযোগকারিনীই। কী বক্তব্য তাঁর?
কী দাবি অভিযোগকারিনীর: একটি সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলে কার্তিক মহারাজের (Kartik Maharaj) বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন ওই মহিলা। কিন্তু রবিবার হঠাৎ করেই নিজের অভিযোগ থেকে সরে এলেন তিনি। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে এক সাংবাদিকের কথায়, তারপর আইপ্যাক এবং তারপর দিদির লোকজনের কথায় নাকি কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন ওই মহিলা।
আরো পড়ুন : মেয়েদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার ভিডিও রেকর্ড, বন্ধুদের দেখিয়ে চলত অশ্লীল আলোচনা! মনোজিতের হাজারো কীর্তি ‘ফাঁস’
কাদের কথায় অভিযোগ: এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিযোগকারিনী বলেন, প্রথমে এক সাংবাদিকের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর। এরপর তৃণমূলের ভোটকুশলী সংস্থা আইপ্যাকের সঙ্গে নাকি যোগাযোগ করা হয় তাঁর সঙ্গে। তারপরেই নাকি কলকাতা থেকে আইপ্যাকের বেশ কয়েকজন কর্মী তাঁর বাড়িতে আসেন। সেখান থেকেই নাকি ব্যবস্থা হয়।
আরো পড়ুন : বাড়িতে ঢুকে হিন্দু মহিলাকে ধর্ষণ BNP নেতার, উত্তাল বাংলাদেশ! এবার ইউনূসের বাংলাদেশকে চরম সতর্কবার্তা ভারতের
কার্তিক মহারাজ (Kartik Maharaj) অবশ্য আগেই দাবি করেছিলেন, অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তিনি বলেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ব্রহ্মাস্ত্র প্রয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু তাঁর বিশ্বাস যে সত্যের জয় হবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও কার্তিক মহারাজের পাশে দাঁড়িয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন, এতদিন যখন তিনি চুপ ছিলেন তখন তো কোনো অভিযোগ ওঠেনি। এখন মুখ খোলার পরেই কেন অভিযোগ উঠছে? অন্যদিকে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ কার্তিক মহারাজের গ্রেফতারির দাবিও তুলেছিলেন।