Ekchokho.com 🇮🇳

নতুনদের টার্গেট, একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে অশ্লীলতা? মনোজিতের ফোনে লুকিয়ে আরও কুৎসিত ভিডিও!

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : কসবা আইন কলেজে (Kasba Law College) তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তে নেমে অপর দুই অভিযুক্ত প্রমিত মুখোপাধ্যায় এবং জৈব আহমেদকে জেরা করে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, আগেও কলেজের (Kasba Law College) একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করার অভিযোগ রয়েছে মনোজিতের বিরুদ্ধে। শুধু ধর্ষণের ভিডিও নয়, এর আগে বিভিন্ন ছাত্রীর সঙ্গে অশ্লীল আচরণের ছবি, ভিডিও তুলে রাখা হত। পরে সেগুলি দিয়ে করা হত ব্ল্যাকমেল। এবার সেইসব ভিডিওর খোঁজে তদন্তে নামল সিট।

কসবা (Kasba Law College) কাণ্ডে অশালীন ভিডিওর খোঁজে তদন্ত সিটের

রবিবার অন্যতম অভিযুক্ত প্রমিতকে নিয়ে তাঁর হাওড়ার চ্যাটার্জিহাটের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিট। পাশাপাশি অপর দুই অভিযুক্ত জৈব এবং মনোজিতের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, ধৃতরা প্রথমে দাবি করেছিল, ধর্ষণের সময় দু মিনিটের দুটি ভিডিও তোলা হয়েছিল। তবে পুলিশের সন্দেহ, নির্যাতিতাকে বিবস্ত্র করা বা যৌন নির্যাতনের আরো কিছু ভিডিও, ছবি থাকতে পারে। উপরন্তু তদন্তে নেমে সিটের সদস্যরা জানতে পারেন, ছাত্রীদের অশ্লীল ভিডিও, ছবি, ধর্ষণের ভিডিও সবই নিজেদের মোবাইলের পাশাপাশি অন্যান্য ল্যাপটপ এবং পেন ড্রাইভেও অভিযুক্তরা কপি করে রেখেছে।

More videos can be there in kasba Law college main accused mobile phone

অন্য ছাত্রীদের ভিডিও রয়েছে ফোনে: পুলিশ সূত্রে খবর, বিগত কয়েক বছর ধরে কলেজে (Kasba Law College) নতুন ভর্তি হওয়া ছাত্রীদের টার্গেট করে তাঁদের প্রতি অশালীন আচরণ করত মনোজিৎ। তাদের ইচ্ছামতো পদ দিত ইউনিয়নে, সেই সঙ্গে আরো উঁচু পদের লোভও দেখাত। পাশাপাশি প্রায় প্রত্যেক ছাত্রীকেই সে বিয়ের প্রস্তাবের টোপ দিত বলে অভিযোগ। বিভিন্ন সময়ে ছাত্রীদের (Kasba Law College) গার্ড রুমে নিয়ে গিয়ে চলত অশালীন আচরণ। আবার কখনো কখনো আউটিংয়েও যেত তারা। সেখানেও ছাত্রীদের সঙ্গে অশ্লীল আচরণের ছবি, ভিডিও রেখে দেওয়া হত। পরে সেগুলি দিয়ে চলত ব্ল্যাকমেল। অভিযোগ, সেই ভিডিও, ছবিগুলি কপি করে রাখা হয়েছে ল্যাপটপ, পেনড্রাইভে।

আরো পড়ুন : ঘোর ষড়যন্ত্র হয়েছে কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে, কাদের কথায় ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন? বিষ্ফোরক স্বীকারোক্তি মহিলার

শেয়ার করা হয়েছে গ্রুপে: রবিবার অভিযুক্ত প্রমিতের বাড়িতে ওই ভিডিওগুলির খোঁজে হানা দেয় সিটের সদস্যরা। অভিযুক্তকে দেখেই মারমুখী হয়ে ওঠে ভিড় করা জনতা। সূত্রের খবর, অপর দুই অভিযুক্ত মনোজিৎ এবং জৈবিক বাড়িতেও হয়েছে তল্লাশি। এছাড়াও ধর্ষণের ভিডিও (Kasba Law College) গুলি একটি সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপেও শেয়ার হয়েছিল বলে খবর আসে পুলিশের কাছে। ওই গ্রুপে তিন অভিযুক্ত ছাড়াও মনোজিতের ঘনিষ্ঠ কয়েকজনও রয়েছে বলে খবর। সেই তথ্য যাচাই করার সঙ্গে সঙ্গে ওই গ্রুপ থেকে ভিডিওগুলি বাইরে ছড়িয়েছে কিনা সে বিষয়েও তদন্ত করছে পুলিশ।

আরো পড়ুন : ‘দাদা’র নির্দেশেই সবকিছু, ধর্ষণের ভিডিও নিয়ে ছিল আরও বড় প্ল্যান! কসবা কাণ্ডে প্রকাশ্যে বিষ্ফোরক তথ্য

তিন অভিযুক্তের পোশাক, জুতো পাঠানো হয়েছে ফরেনসিকে। পাশাপাশি ঘটনাস্থল, কলেজের ইউনিয়ন রুমের বাথরুম, গার্ডের রুম থেকে ছেঁড়া চুল, রক্তের দাগ সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ পুলিশ উদ্ধার করেছে বলে খবর। এছাড়া নির্যাতিতা তরুণীকে ধর্ষণ ছাড়াও মারধোরও যে করা হয়েছিল তার প্রমাণও পুলিশ পেয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।