বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় আমফানের (Amphan) দাপটে রাজ্যে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৷ উপরে পড়েছে একাধিক গাছ ৷ সেই ক্ষতি সামলাতে আজ, রবিবার গাছ লাগানোর আবেদন জানালেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) ৷ আজ বোটানিকাল গার্ডেন পরিদর্শনের পর রথযাত্রায় রাজ্যবাসীর কাছে বৃক্ষরোপনের আবেদন জানান তিনি।
উল্লেখ্য,গত সপ্তাহের বুধবার সুপার সাইক্লোন আমফান আছড়ে পড়েছিল পশ্চিবঙ্গে। শুক্রবার নবান্নের ভিডিও কনফারেন্সে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee) জানালেন, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯৮ জনের। দু’দিন আগেও স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, আমফানে মৃতের সংখ্যা ৮৬। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, সেই সংখ্যাটা আরও বেড়ে গিয়েছে।
ঝড়ের বিকেল থেকেই মৃত্যুর খবর আসতে শুরু করেছিল। টিনের শেড ভেঙে হাওড়ায় মৃত্যু হয়েছিল এক কিশোরীর। সন্ধের সময়ে ঝড়ের গতি বাড়তে থাকার সময়েই জানা গিয়েছিল, কলকাতার রিজেন্ট পার্ক এলাকায় গাছ পড়ে মা এবং ছেলের মৃত্যু হয়েছে। তারপর যত সময় এগিয়েছে ততই বেড়েছে মৃতের সংখ্যা। সাইক্লোনের পরের দিনই জানা যায়, শুধু কলকাতাতেই ঝড়ের কারণে মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি থেকে মৃতের খবর আসতে শুরু করে। কারও প্রাণ গিয়েছে গাছ পড়ে, কেউ মারা গিয়েছেন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়।
অনেকের মতে, আমফানের কারণে টেলিযোগাযোগ, ইন্টারনেট পরিষেবা-সহ সমস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার ফলেই সমস্ত জায়গা থেকে রিপোর্ট আসতে সময় লাগছে। আগেই আমফানে মৃতদের পরিবারের জন্য আড়াই লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই বহু পরিবারের হাতে প্রশাসনের তরফে ক্ষতিপূরণের চেক পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছে। বাকিদের কাছেও ক্ষতিপূরণের অর্থ দু’একদিনের মধ্যে জেলা প্রশাসন পাঠিয়ে দেবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
২০০৯ সালে এমনই এক ভয়ঙ্কর সাইক্লোন আয়লায় ৩৩৯ জন মারা গিয়েছিল। আয়লার চেয়ে আমফানের প্রভাব অনেকটাই বেশি। ক্ষয়ক্ষতিও বেশি। কিন্তু আগাম সাবধানতার কারণে প্রাণহানি অনেক কম হয়েছে।