বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভারতের (india) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra modi) গতকালের মত আজ ফের একবার দেশবাসীর কাছে স্বীকার করে নিলেন, লকডাউনে সব চেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ গরিব মানুষ ও শ্রমিকরাই। আজ মন কি বাত এ রেডিওতে এই কথা মেনে নিলেন প্রধানমন্ত্রী।
তাদের কারো কয়েক সপ্তাহ ঘরে জোটে নি খাবার, কেউবা হাঁটতে হাঁটতে আলিঙ্গন করছেন মৃত্যুকে, খিদের জ্বালায় কাউকে খেতে হচ্ছে কুকুরের মাংস ; দেশ জুড়ে লকডাউনে খেটে খাওয়া মানুষদের চিত্রটা এমনই। দেশের প্রতি প্রান্ত থেকে প্রতিদিন এমনই হাজার হাজার ছবি ও খবর উঠে আসছে। শুধু শ্রমিকরাই নয়, তাদের সাথে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দেশের ভবিষ্যৎ, শ্রমিক সন্তান।
পরিযায়ী শ্রমিকদের এহেন দুর্দশা নিয়ে প্রতিদিনই বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে মোদি সরকারকে। সীতারাম ইয়েচুরি থেকে রাহুল গান্ধী দেশের সব ছোট বড় বিরোধীরা এক যোগে সামাজিক মাধ্যমে বা সাংবাদিকদের সামনে তোপ দেগেছেন সরকারের বিরুদ্ধে। আজ ‘মন কি বাত’-এ মোদি স্বীকার করে নিলেন নিজের ব্যার্থতার কথা। তিনি বললেন, করোনা মহামারিতে সব শ্রেনীর মানুষের ক্ষতি হলেও সব চেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে গরীব মানুষ ও শ্রমিকদের।
এর আগে পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিনতি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ৷ তিনি বলেন, ওনারা যে পরিমান কষ্ট পেয়েছেন তাতে আমি ব্যাথিত, এর মানে এই নয় যে সরকার কিছু করেনি। এর পরেই মুখ খোলেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি। নিজের সরকারের ব্যার্থতা স্বীকার করে নিলেও শ্রমিকদের জন্য কোনো ঘোষনা ছিলনা আজও অর্থাৎ পরিযায়ী শ্রমিকদের জীবন সেই অনিশ্চয়তার ঘোর তিমিরেই রয়ে গেল।