বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভারতের (India) তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও দেশের নতুন মানচিত্র নেপালের (Nepal) পার্লামেন্টে উপস্থাপন করা হয়েছে। গতকাল রবিবার ‘ম্যাপ আপডেট বিল’ নামের বিলটি পাসের জন্য পার্লামেন্টে উপস্থাপন করা হয় বলে জানিয়েছে হিমালয়ান টাইমস। নতুন মানচিত্রে ভারত-নেপাল সীমান্তের লিম্পিয়াধুরা, কালাপানি ও লিপুলেখকে নেপালের অংশ বলে দাবি করা হয়েছে। এই তিন এলাকা নিয়ে ভারত ও নেপালের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলে আসছে।
নয়াদিল্লির দাবি, এ তিনটিই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এবং উত্তরাখণ্ড রাজ্যের পিথোরাগড় জেলার অন্তর্ভুক্ত। উল্টো দিকে নেপালও এই এলাকাগুলো তাদের অংশ বলে দাবি করে আসছে। সম্প্রতি ভারত উত্তরাখণ্ডের গাটিয়াবর্গ থেকে লিপুলেখ পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার রাস্তা উদ্বোধন করার পর দুই দেশের মধ্যে বিরোধ চরমে ওঠে। নেপাল দাবি করে, এই রাস্তার অংশ নেপালের ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে গেছে। ভারত অবশ্য সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। ওই রাস্তা খুলে যাওয়ার কয়েক দিন পর নেপালের ভূমি মন্ত্রণালয় দেশের সংশোধিত নতুন মানচিত্র প্রকাশ করে। এতে লিম্পিয়াধুরা, কালাপানি ও লিপুলেখকে নেপালের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ওই সময় ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল, ‘কৃত্রিমভাবে দেশের সীমান্ত এভাবে বাড়িয়ে দেওয়াকে ভারত কোনোভাবেই মেনে নেবে না।’
গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির অনুরোধে প্রস্তাবিত বিলটি শেষ মুহূর্তে সংসদের এজেন্ডা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আসলে বিরোধী দল নেপালি কংগ্রেস আলোচনার জন্য আরও সময় চেয়েছিল। একই সঙ্গে, সমাজবাদী জনতা পার্টি এবং জাতীয় জনতা পার্টিও তাদের সংবিধান সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছিল।
ভারত ইতোমধ্যে নতুন মানচিত্রে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ভারত বলেছিল যে নেপালের কৃত্রিম দাবি মানবে না। নেপালের এ জাতীয় দাবি থেকে বিরত থাকা উচিত।
ভারতের কড়া জবাবে অবশ্য পিছু হটেনি কাঠুমান্ডু। বরং সংবিধানের তিন নম্বর শিডিউলে অন্তর্ভুক্ত নেপালের রাজনৈতিক মানচিত্রকে সংশোধন করার জন্য বিল পেশ করা হয়েছে। আপাতত বিলটি নিয়ে সংসদে আলোচনা হবে। সংসদের উভয় কক্ষে বিলটি পাশ হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। তাঁর অনুমতি পেলে তা আইনে পরিণত হবে এবং তারপর থেকে সেই নয়া মানচিত্র যাবতীয় সরকারি নথিতে ব্যবহার করা হবে। তবে বিষয়টি নিয়ে ভারতের তরফে আপাতত কোনও মন্তব্য করা হয়নি।