বাংলা হান্ট ডেস্ক : বেশ কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন ছিল নেতৃত্ব বদলের। নাম ঘোরাফেরা করছিল একাধিক নেতার। সেই সম্ভাবনায় এবার শিলমোহর পড়ল। রাজ্য সভাপতি পদে বিজেপির (BJP) তরফে মনোনয়ন জমা দিলেন শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। পাশে ছিলেন বিদায়ী সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ফলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নাম ঘোষণার আগেই নিশ্চিত হয়ে গেল—শমীকই হচ্ছেন বিজেপির (BJP) নতুন রাজ্য সভাপতি।

দলের পুরনো সৈনিক ফের উঠে এলেন সামনে
শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya) রাজনীতিতে নতুন কেউ নন। তিনি ছোটবেলা থেকেই জনসংঘের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীকালে বিজেপি ও আরএসএস—দু’দিকেই সক্রিয় ছিলেন তিনি। ২০১৪ সালে একবার বিধায়ক হয়েছিলেন বসিরহাট দক্ষিণ থেকে। যদিও পরের কয়েকটি ভোটে তিনি হেরে যান। তবে দলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক, দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আর আরএসএসের সমর্থন—এই তিনে ভর করেই তাঁকে নেতৃত্বে আনছে দল।
আরএসএসের সম্মতিতেই এই পরিবর্তন বলছে ওয়াকিবহাল মহল
সূত্রের খবর, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশ ও আরএসএস চাইছিলেন নতুন কোনও অভিজ্ঞ মুখকে সামনে আনা হোক। শমীকের উপর তাঁদের আস্থা ছিল দীর্ঘদিনের। যদিও সুকান্ত নিজেও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে যথেষ্ট গ্রহণযোগ্য ছিলেন, কিন্তু শেষমেশ গুরুত্ব পেল সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ এক বর্ষীয়ান নেতা। সুকান্ত ও শুভেন্দুর সঙ্গে শমীকের একসঙ্গে উপস্থিতি দেখেই তা স্পষ্ট।
দলের ভিত শক্ত করতে চাইছে বিজেপি তাই ভরসা অভিজ্ঞ নেতৃত্বে
রাজ্যে আগামী দিনে বিজেপিকে আরও সংগঠিত করতে হবে—এই চ্যালেঞ্জ রয়েছে নতুন সভাপতির সামনে। শমীক সংগঠনের মানুষ, নেতৃত্ব দিয়েছেন আগেও। অনেকেই মনে করছেন, পরপর পরাজয়ের পরে এবার বিজেপি চায় এক ব্যালান্সড মুখ, যিনি জনসংযোগের পাশাপাশি দলের অভ্যন্তরীণ কাঠামোকেও চেনেন। শমীক সেই শর্তে পুরোপুরি ফিট।
আরও পড়ুন : চারবার লালবাজার! পুলিশ হেনস্থার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে সুকান্ত
তালিকায় যুক্ত হল আরও এক প্রবীণ নেতার নাম
বিজেপির ইতিহাসে এর আগে রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন তপন শিকদার, দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহার মতো নেতারা। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল শমীক ভট্টাচার্যের নাম। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, ‘‘দল আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে, আমি তা পালন করব আন্তরিকতার সঙ্গে।’’ এখন দেখার, তাঁর হাত ধরে রাজ্য বিজেপি নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে কি না।