বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনাভাইরাসকে (corona virus) কাটিয়ে ওঠার প্রয়াসে বিজ্ঞানীরা ভ্যাকসিন তৈরির জন্য দিনরাত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পুরো বিশ্ব এই মহামারীর কবলে পড়ে আছে। অর্থনীতির উপরেও এর যথেষ্ট খারাপ প্রভাব পড়ছে। অর্থনীতি অনেকেটাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এখনই যদি শীঘ্রই কোনও চিকিত্সা না পাওয়া যায়, প্রগতিশীল দেশগুলি খারাপ অবস্থায় উপস্থিত হবে। তবে এখন করোনার ভাইরাসের চিকিত্সা সম্পর্কিত একটি সুসংবাদ রয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে, গবেষকরা একটি সমীক্ষার মাধ্যমে দেখিয়েছেন যে, করোনার ভাইরাস ভিটামিন রাইবোফ্ল্যাভিন এবং অতিবেগুনী রশ্মির সংস্পর্শে আসে, তাই এই মানব রক্তরস এবং রক্তের পণ্যগুলি (লোহিত রক্তকণিকা, প্লেটলেটস, প্লাজমা ইত্যাদির মতো মানুষের রক্ত থেকে তৈরি থেরাপিউটিক উপাদান) হ্রাস করার ক্ষেত্রে ভাইরাস পরিমাণ। এটি এমন একটি অর্জন যা রক্ত সঞ্চালনের সময় ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করতে সহায়তা করে।
তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটির (সিএসইউ) (Colorado State University) বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে, কোভিড -১৯ কোরোনা ভাইরাসের রক্ত সংক্রমণে ছড়িয়ে পড়েছিল বা সারার-কোভ -২ বিশ্বব্যাপী মহামারীটির জন্য দায়ী কিনা তা এখনও জানা যায়নি। গবেষণায় বিজ্ঞানীরা নয়টি প্লাজমা এবং তিনটি রক্ত পণ্য চিকিত্সার জন্য মিরসোল প্যাথোজেন হ্রাস প্রযুক্তি সিস্টেম নামে একটি যন্ত্র তৈরি করেছেন। অধ্যয়নের সহ-লেখক ইজাবেলা রাগান বলেছিলেন, “আমরা ভাইরাসের পরিমাণ হ্রাস করেছি এবং চিকিত্সার পরে আমরা ভাইরাস পাইনি।”
গবেষণার সিনিয়র লেখক রে গুডরিচ সিএসইউ থেকে আবিষ্কার করেছেন, ডিভাইস রক্তের পণ্য বা প্লাজমা আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মিতে প্রকাশ করে কাজ করে। গবেষকরা বলছেন যে ১৯৮০ এর দশকে এইচআইভি যখন রক্ত ও রক্তের পণ্যগুলির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল তখন ডিভাইসটি সহায়ক হয়েছিল। তবে গুডরিচ বলেছিলেন। বর্তমানে মিরসোলের ব্যবহার কেবলমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে বিশেষত ইউরোপ, পশ্চিম এশিয়া এবং আফ্রিকার ক্ষেত্রে অনুমোদিত। এই সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে পিএলওএস ওয়ান জার্নালে।