বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) বিরোধীতা করল ভারত (India)। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিল, এই ভাইরাসের মোকাবিলায় দেশ একাই এগিয়ে যাবে। অর্থাৎ এই রোগের প্রকোপ থেকে নাগরিকদের রক্ষা করার জন্য যা করণীয়, তা অবশ্যই করবে ভারত, এই কথা খোলাখুলি জানিয়ে দিল।
হাইড্রক্সি ক্লোরকুইনের ট্রায়াল বাতিল করল WHO
কিছুদিন আগেই WHO সদস্য দেশগুলোকে জানিয়েছিল, করোনা ভাইরাসের সাময়িক প্রতিষেধক হিসাবে ব্যবহৃত হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন সুস্থ করার বদলে উল্টে মৃত্যু মুখে ঠেলে দিচ্ছে মানুষকে। সেই কারণে এই ওষুধের ট্রায়ালও বন্ধ করত বলে WHO। কিন্তু ভারতীয় বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই ওষুধ প্রয়োগে করোনা ভাইরাসের থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
চক্রান্ত করতে পারে পশ্চিমি দেশগুলো
ICMR-র পক্ষ থেকে পেশ করা রিপোর্টে জানা যায়, হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন ব্যবহার করে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মাত্রা অনেক কম হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রালয়ের এক আধিকারিকের মতে, বেশির ভাগ পশ্চিমি দেশগুলোর বিজ্ঞানীরা এবং ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারতকে সর্বদা নিচু দেখাতে চায়। করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসাবে ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক সস্তার হাইড্রক্সি ক্লোরকুইন ব্যবহার করলে, পশ্চিমি দেশগুলোর ওষুধের ব্যবসায় প্রভূত লোকসান হবে। সেই কারণে WHO হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইনের প্রয়োগ বন্ধ করতে চাইছে। কিন্তু ভারত এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে।
ট্রাম্পের সঙ্গে WHO-র বিরোধ
সমগ্র বিশ্বে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার পেছনে WHO-এর ভূমিকা আছে, এই বিষয়ে বহুবার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি সুপার পাওয়া আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প WHO-র তীব্র বিরোধিতাও করে অর্থ সাহায্যও বন্ধ করে দিয়েছে।
ভারত থেকেই প্রস্তুত হবে সঠিক ভ্যাকসিন, আশাবাদী
WHO- র আয়ত্তায় বিভিন্ন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা আলাদা আলাদাভাবে ওষুধের প্রস্তুত করে চলেছে। আবার বিশ্বের বৃহৎ দেশগুলোর মধ্যে ভারতে বহুল পরিমাণে টিকা উৎপাদন করা হয়। ভারতের প্রথম সারির সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইণ্ডিয়ার সাথে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি আসন্ন ভ্যাকসিনের সম্পর্কে আলোচনা করছে। আশা করা যাচ্ছে ভারত থেকেই সর্বপ্রথম করোনার সঠিক প্রতিষেধক আবিষ্কার হবে এবং তা অনেক সস্তায় পাওয়া যাবে।