বাংলাহান্ট ডেস্ক: ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (WHO) এর তরফে একটি সমীক্ষা চালানো হয় যেখানে দেখা গিয়েছে সারা বিশ্বের প্রায় ৪.৩ মিলিয়ন মানুষ মারা যায় শুধুমাত্র বাড়ির মধ্যে থাকা দূষিত বাতাসের (polluted air) কারনে। এইসব মৃত্যুর নেপথ্যে রয়েছে ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসারের মতো মারাত্মক রোগ। রোজকার ব্যবহারের ডিওডোরান্ট থেকে শুরু করে ডিটারজেন্ট, ঘর পরিষ্কার করার জিনিস, হেয়ার স্প্রে সবকিছু থেকেই দূষিত হয় বাড়ির মধ্যেকার বাতাস। কৃত্রিম জিনিসপত্রকে দূরে সরিয়ে কিছু প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করুন যাতে খুব সহজেই মুক্তি পাওয়া যাবে এই দূষিত বাতাসের হাত থেকে। রইল পাঁচটি গাছের খোঁজ যা ঘরের মধ্যের দূষিত বাতাস দূর করবে।
অ্যালোভেরা- অ্যালোভেরার ঔষধি গুনের কথা তো অনেকেই জানেন। কিন্তু এই গাছ ঘর থেকে দূষিত বাতাস দূর করতেও খুবই কার্যকর, সেকথা জানতেন কি? ঘরে থাকা কার্পেটের মধ্যের বেঞ্জিন ও ফরম্যালডিহাইড দূর করতে সাহায্য করে।
স্পাইডার প্ল্যান্ট- এই গাছ খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠে। ডিটারজেন্ট, রঙ থেকে নির্গত কার্বন মনোক্সাইড, ফরম্যালডিহাইডকে দূর করতে এই গাছের জুড়ি মেলা ভার। এই গাছের পরিচর্যাও খুব সোজা। সূর্যের আলো ছাড়াো এই গাছ খুব সহজেই বেড়ে উঠতে পারে।
স্নেক প্ল্যান্ট- এই গাছের অপর নাম ‘মাদার ইন ল’স টাং’। ফরম্যালডিহাইড, ট্রাইক্লোরোইথিলিন, টলুইন প্রভৃতি ক্ষতিকারক উপাদান দূর করতে এই গাছ অপরিহার্য। শুধু তাই নয়, স্নেক প্ল্যান্ট কার্বন মনোক্সাইড শোষন করে রাতে অক্সিজেন নির্গত করে।
বাম্বু পাম- দেখতে খুব সুন্দর হওয়ায় এই গাছ ঘরের শোভাবর্ধন করে। তাছাড়া ফরম্যালডিহাইড, কার্বন মনোক্সাইড ইত্যাদি দূর করতে এই গাছ খুবই উপকারী।
ওয়ারনেক ড্রাকেনা- ঘরে, অফিসে প্রায়শই দেখা মেলে এই গাছের। শোভা বাড়ানোর পাশাপাশি রঙ, কার্পেট থেকে নিষ্কৃত ক্ষতিকারক উপাদানগুলোও দূর করে এই গাছ।